সামনেই ভারতের লোকসভা নির্বাচন। ইতোমধ্যেই তফসিল ঘোষণা হয়ে গেছে। এমনি সময় বড় ধরনের স্বস্তির ব্যাপার ঘটেছে নরেন্দ্র মোদি সরকারের জন্য।
ভারতের হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদি লন্ডনে গ্রেফতার হয়েছেন। পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক (পিএনবি) থেকে নেয়া ঋণের টাকা শোধ না করার অভিযোগেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ভারতীয় কর্তৃপক্ষের হয়ে ১৯ মার্চ লন্ডনের হোবর্ন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৪৮ বছরের নীরবকে।’
গত বছরের জুলাইতেই নীরবের প্রত্যর্পণ চেয়ে ব্রিটেনকে অনুরোধ করেছিল ভারত। সেই অনুরোধ ওয়েস্টমিনস্টারের আদালতে পাঠিয়ে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। তার পরেই তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয় এবং তাকে গ্রেফতার করা হয়।
তবে কোন জায়গা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হল তা জানায়নি ব্রিটেন পুলিশ। এর পাশাপাশি কবে নীরব মোদিকে দেশে ফেরানো যাবে, তা নিয়ে সংশয় থাকছেই। কারণ নীরব মোদি আপাতত লন্ডন জেলেই থাকছে। জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় তাকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত সেখানে থাকতে হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আদালত। এর পর শুরু হতে পারে প্রত্যর্পণ মামলার শুনানি।
কয়েকদিন আগেই লন্ডনের একটি আদালত নীরব মোদির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল। আর্থিক তসরুপ সংক্রান্ত মামলায় নীরব মোদিকে ভারতে প্রত্যর্পণ করার জন্য লন্ডনের আদালতে আবেদন করেছিল ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। ওই প্রতারক ব্যবসায়ীকে দেশে ফেরাতে জোর তৎপরতা শুরু করেছিল সিবিআই-ও। সিবিআই-এর আবেদনের ভিত্তিতে ইন্টারপোলও নীরব মোদির বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিশ জারি করেছিল। সব মিলিয়ে জোর তৎপরতাই শুরু করা হয় নীরব মোদিকে গ্রেফতারের জন্য।
আটচল্লিশ বছর বয়সি এই ভারতীয় ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে পিএনবি-র থেকে নেয়া তেরো হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে।
ভারতের সরকারবিরোধী দলগুলো দাবি করছিল, নীরব মোদিকে দেশ ছেড়ে পালাতে সাহায্য করেছিল মোদি সরকারই। অবশ্য আগে থেকেই বিজেপি দাবি করে আসছিল পিএনবি ব্যাংকের এই দুর্নীতি তাদের সময় হয়নি, হয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের সময়েই।