তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বলেছেন, নিউজিল্যান্ডের মসজিদ হামলায় জড়িত বন্দুকধারী ইসলামিক স্টেটের সন্ত্রাসীদের থেকে আলাদা কিছু নয়।
ওয়াশিংটন পোস্টে বুধবার প্রকাশিত এক নিবন্ধে তিনি উল্লেখ করেন, ওই হামলাকারীর শিক্ষা বা আদর্শকে খ্রিস্টান ধর্মের সাথে মেলানোর কোনো পথ নেই।
গত শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ান শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদী ব্রেন্টন ট্যারান্ট নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরের দুটি মসজিদে হামলা করে ৫০ জনকে হত্যা করে। হামলাকারী হামলার আগে নিজের পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছিল, সে অভিবাসন ও মুসলিমবিদ্বেষী।
ওই নিবন্ধে এরদোগান আরো বলেন, আমি ক্রমাগতই বলে আসছি, সন্ত্রাসের কোনো ধর্ম নেই, কোনো ভাষা নেই। গত শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চে যে হামলা হয়েছে হামলা হয়েছে সেটিকে আমি কোনো শিক্ষা, নৈতিকতা, মূল্যবোধের প্রভাব বলতে চাই না। যদি এ রকম কিছু এ হামলার জন্য দায়ী হয়ে থাকে, তাহলে সেটি হলো অবহেলা, প্রত্যাখ্যান ও ঘৃণা।
এরদোগান বলেন, ২৮ বছর বয়সী ট্যারান্ট আসলে ধর্ম নয়; বরং মানুষের মধ্যে বর্ণবাদের বিষ ছড়াতে চেয়েছে। এ ট্যার্যান্ট ও আইএসের মধ্যে আসলে কোনো পার্থক্য নেই। আইএস যেভাবে তুরস্ক ফ্রান্স ইন্দোনেশিয়াসহ সর্বত্র হামলা চালিয়ে নিষ্পাপ মানুষকে হত্যা করেছে, অস্ট্রেলিয়ান ওই বন্দুকধারীও নিউজিল্যান্ড তা-ই করেছে।
তিনি বলেন, ক্রাইস্টচার্চ হামলার পর পশ্চিমা বিশ্বের দায়িত্ব বেড়ে গেছে। এখন তাদের ঘাড়ে বর্ণবাদ প্রত্যাখান, অভিবাসীদের নিয়ে অহেতুক আতঙ্ক প্রত্যাখ্যান এবং ইসলামোফোবিয়া বা ইসলামবিদ্বেষ প্রত্যাখানের দায়িত্ব বেড়েছে।
এদিকে নিউজিল্যান্ড প্রধানমন্ত্রী জেসিন্দা আরডার্ন ওই হামলার পর যেভাবে মুসলমানদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন এবং পশ্চিমা নেতাদেরকে তাদের দেশে বসবাসরত মুসলিমদের বুকে আকড়ে নেয়ার অনুরোধ করেছেন, তার ভূয়সী প্রশংসা করেন এরদোগান। সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা