ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এখনো সময় আছে, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। কারণ তিনি গণতন্ত্রের প্রতীক, তিনি একমাত্র বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে পারবেন এবং আপনাদেরকেও রক্ষা করতে পারবেন তিনি।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিচে কেরাণীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠন আয়োজিত গণঅনশনে তিনি এসব কথা বলেন। এরআগে দুপুর ১২ টায় গণঅনশন শুরু হয়। বিকেল ৪ টা পর্যন্ত এই অনশন কর্মসূচি চলবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ অনশন কর্মসূচিতে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি গতকাল(মঙ্গলবার) কোর্টে গেয়েছিলাম। সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার একটি মিথ্যা মামলার কাজ চলছে ছোট অন্ধকার প্রকোষ্ঠে! আমি সেখানে তার সঙ্গে দেখা করতে গেয়েছিলাম। বলে বোঝাতে পারবো না, কারণ আমি এমন খালেদা জিয়াকে আগে কখনো দেখিনি। তিনি এতো অসুস্থ যে, মাথা সোজা করে বসতে পারছেন না! তার সমস্ত শরীরে যন্ত্রণা ও ব্যথা। তিনি কিছুই খেতে পারছেন না। আর কিছু খেলেও সেটা থাকছে না। খালেদা জিয়াকে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করে তিনি।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আজকে আর বসে থাকবার সুযোগ নেই। এটা (অনশন) কোন ছোট অনুষ্ঠান নয়। এটা একটা বড় আন্দোলন। এটাকে সামনে নিয়ে আমাদেরকে সামনের দিনগুলোতে এগিয়ে যেতে হবে। কারণ এটা ছোট খাটো সংগ্রাম ও লড়াই নয়। এটা হচ্ছে, আমাদের অস্তিত্বের লড়াই। অনেকেই বলেন, এই সংকট বিএনপির; কিন্তু না। এটা সমস্ত জাতির সংকট।
মির্জা ফখরুল বলেন, আসুন, আমরা দল মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হই। ঐক্যবদ্ধ হয়ে, এই যে স্বৈরাচারী সরকার আমাদের বুকের ওপরে চেপে বসেছে- তাদেরকে সরিয়ে দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত ও বেগম জিয়াকে মুক্ত করে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করি।
নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সারাদেশে যে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে, তারই প্রমাণ এটা। আমরা দেখছি যে, দেশে এখন কোন আইনের শাসন নেই। সমগ্র দেশে একটা নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে। এই দখলদার সরকার, তারা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে- মানুষকে শান্তি, নিরাপত্তা দিতে এবং জীবনের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায় চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনশনে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ এবং সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন।