কেপ টাউনে সিরিজের প্রথম টি২০ ম্যাচে মঙ্গলবার সফরকারী শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। মাঝারি মানের স্কোর হলেও খেলায় ছিল টানটান উত্তেজনা। শেষ পর্যন্ত খেলা গড়ায় সুপারওভারে। আর তাতে নিজের ক্যারিশমা দেখিয়ে দলকে জয় এনে দেন ইমরান তাহির। এর ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল প্রোটিয়ারা।
এদিন কেপটাউন নিউল্যান্ডসে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার জন্য আমন্ত্রণ জানায় সফরকারী শ্রীলঙ্কা টিমকে। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ১৩৪ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। দক্ষিণ আফ্রিকান বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে এদিন মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি তেমন কেউই। একমাত্র কথা বলেছে কামিন্দু মেন্ডিসের ব্যাট। সর্বোচ্চ ২৯ বলে ৪১ রান তুলে নেন মেন্ডিস। তিনি ছাড়া আর কেউ ২০-এর ঘরও পার হতে পারেনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে বল হাতে সবচেয়ে সফল ছিলেন অ্যান্ডাইল ফেহলুকুয়াও। তিনি ২৫ রানে তুলে নেন ৩ উইকেট। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে প্রোটিয়াদের জন্য ১৩৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁড়ে দেয় শ্রীলঙ্কা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৫২ রানেই প্রথম ৩ উইকেট খুঁইয়ে বসে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর অবশ্য ভ্যান ডার ডাসেন ও ডেভিড মিলারের জুটি প্রোটিয়াদের জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যায়। চতুর্থ উইকেটে ৬৬ রান যোগ করেন এই দুই ব্যাটসম্যান। ৩০ বলে ৩৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন ডাসেন। অন্যদিকে ২৩ বলে ঝোড়ো ৪১ রান করে দলের জয়ের ভিত গড়ে দেন মিলার।
ডাসেনকে ফিরিয়ে ম্যাচে বেশ ভালোভাবেই কামব্যাক করে শ্রীলঙ্কা। এরপর টেল এন্ডারদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় জয়ের কাছাকাছি গিয়েও জয় পাওয়া হয়নি প্রোটিয়াদের। তাদের শেষ ৫ উইকেটের পতন হয় মাত্র ১৫ রানে। শেষ বলে জয়ের জন্য ২ রান দরকার থাকলেও এক রান নিতে সমর্থ হন তাহির-স্টেইন জুটি। ফলে কাছে এসেও জয় অধরাই রয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার। ম্যাচ টাই হয়ে যায়।
টাই হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। একটি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারি সহযোগে সুপার ওভারে শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গার কাছ থেকে ১৩ রান আদায় করেন ডেভিড মিলার। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে বল করতে আসেন লেগ স্পিনার ইমরান তাহির। আগের চার ওভারে ২১ রান দেয়া তাহির এ ওভারে খরচ করেন মাত্র ৫ রান। ফলে জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। অল-রাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরা হন ডেভিড মিলার।
আগামী ২২ মার্চ সিরিজের দ্বিতীয় এবং ২৪ মার্চ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে শ্রীলঙ্কা হোয়াইট ওয়াশ হয় দক্ষিণ আফ্রিকার হাতে। আর তারও আগে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে সফরকারী শ্রীলঙ্কার হাতে হোয়াইট ওয়াশ হয় স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা।