তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বলেছেন, তুরস্কের ওপর সম্ভাব্য হামলার অংশ হিসেবে নিউজিল্যান্ডের মসজিদে হামলা হয়েছে। তবে কেউ যদি ইস্তাম্বুলে হামলার চেষ্টা করে তাহলে হামলাকারীদের কফিন ফেরত পাঠানো হবে।
নিউজিল্যান্ডের মসজিদে হামলার বিষয়ে এরদোগান দেশটির সরকারের প্রতি সিরিজ তদন্তের আহ্বান জানান। গত শুক্রবার জুমআর নামাজের সময় ব্রেন্টন ট্যারেন্ট নামে এক উগ্রপন্থী সন্ত্রাসী ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে গুলি চালিয়ে অন্তত ৫০ মুসল্লিকে হত্যা করে। এর আগে ওই সন্ত্রাসী একটি মেনিফেস্টো পাঠায়; যাতে তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরকে খ্রিষ্টানদের সম্পত্তি বলে উল্লেখ করে তা তুরস্কের হাত থেকে উদ্ধারের অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়। এতে তুর্কি প্রেসিডেন্টকে ‘যুদ্ধবাজ’ নেতা বলে আখ্যা দেয়া হয়।
তুরস্ককে খ্রিষ্টানদের সবচেয়ে পুরনো শত্রু বলেও উল্লেখ করা হয়েছে মেনিফেস্টোতে। এতে ইস্তাম্বুলকে লক্ষ্য করে বলা হয়, আমরা কনস্টান্টিনোপলে আসছি এবং শহরের প্রতিটি মসজিদ ও মিনার ধ্বংস করব। হাজি সোফিয়াকে মিনার থেকে মুক্ত করা হবে এবং কনস্টান্টিনোপল আবারো খ্রিষ্টানদের দখলে আসবে।
১৯১৫ সালে তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় কানাক্কালে প্রদেশে ওসমানি সেনাদের হাতে ব্রিটিশ সেনাদের পরাজয়ের বার্ষিকী স্মরণে আয়োজিত এক সমাবেশে সোমবার বক্তব্য দেন এরদোগান। ১৯১৫ সালের ওই যুদ্ধে ব্রিটেনের সাথে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের সেনারাও অংশ নেয়।
সমাবেশে এরদোগান বলেন, আমরা এখানে হাজার বছর ধরে আছি এবং কিয়ামত পর্যন্ত থাকব ইনশা আল্লাহ। তোমরা ইস্তাম্বুলকে কনস্টান্টিনোপলে পরিণত করতে পারবে না। তোমাদের দাদারাও এসেছিল এবং লাশ হয়ে ফেরত গেছে। কোনো সন্দেহে নেই তোমাদেরকেও আমরা লাশ বানিয়ে ফেরত পাঠাব।
সূত্র : পার্স টুডে