নিরাপদ সড়কের দাবিতে আবার রাস্তায় নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর বসুন্ধরায় আবাসিক এলাকার প্রবেশমুখে অবস্থান নিয়েছেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসসহ (বিইউপি) বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েক শ শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে অবস্থান নিয়েছেন। তাঁরা স্লোগান দিচ্ছেন ‘অ্যাকশন অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন’।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বসুন্ধরায় যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে নর্দ্দা এলাকায় সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাসের চাপায় নিহত হন বিইউপির ছাত্র আবরার আহমেদ চৌধুরী। এ ঘটনার পর রাস্তায় নামেন শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। তাঁরা সেখানে সড়ক অবরোধ করে রাখেন। তাঁরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের বিচার দাবি করেন।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আট দফা দাবি জানিয়েছেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে বাসচালকের শাস্তি, নতুন বাসচালকেরা যেন যথাযথ নিয়মে ড্রাইভিং লাইসেন্স পান, গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় জেব্রাক্রসিংয়ের ব্যবহার, জেব্রাক্রসিংয়ের সামনে ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপন, প্রগতি সরণির সামনে পদচারী-সেতু স্থাপন।
আবরার আহমেদ চৌধুরী নিহত হওয়ার ঘটনায় গুলশান থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল রাতে নিহত আবরারের চাচা মামলা করেছেন। ঘটনার পর ঘাতক বাসটির চালককে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে গত বছরের ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রতিবাদে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। সারা দেশেই ছড়িয়ে পড়ে তা। ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত চলে ওই আন্দোলন। সেই আন্দোলনে সমর্থন ছিল নিহত আববারের।
সকাল থেকেই বসুন্ধরা এলাকায় যানবাহনগুলোকে ডাইভারশন দেওয়া হচ্ছে। কুড়িল ফ্লাইওভার দিয়ে প্রগতি সরণি ঢোকার মুখে যানবাহনগুলোকে আগে থেকেই ডাইভারশন দিয়ে ৩০০ ফুটের দিকে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে রামপুরা থেকে বাড্ডা হয়ে যে যানবাহনগুলো কুড়িল যাচ্ছিল, সেগুলোকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রগতি সরণির রাস্তায় এখন তেমন যানবাহন নেই। অল্প কিছু সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশা ও মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে।