আবারো একটি সুপার মুন দেখতে পারছেন পৃথিবীবাসী। এটা ঘটবে বাংলাদেশে ২১ মার্চ (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাত ৩টা ৫৮ মিনিটে। আমেরিকায় দেখা যাবে ২০ মার্চ স্থানীয় সময় ৫টা ৫৮ মিনিটে। চলতি বছর এটাই সর্বশেষ সুপার মুন। বিশ্ববাসী আবারো আরেকটি সুপারমুন দেখতে পারবেন ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি। এ সময় চাঁদ পৃথিবীর অধিকতর কাছে অবস্থান করবে এবং সাধারণ চাঁদের চেয়ে অনেকটা বড় দেখাবে। জ্যোতিবিজ্ঞানীরা বলছেন, সামনের একই সুপার মুন ঘটার সময় চাঁদ স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে পৃথিবীর ২৫ হাজার কিলোমিটার কাছে চলে আসবে। আজ বুধবার অথবা বৃহস্পতিবার এই দুইদিনই চাঁদ অনেকটা বড় দেখা যাবে। তবে উল্লেখিত সময়ের মধ্যেই চাঁদ সবচেয়ে বড় দেখাবে। এর থেকে চাঁদ দুরে সরে যেতে থাকবে এবং ছোট দেখা যেতে থাকবে।
বৃহস্পতিবার পৃথিবীতে আরো একটি পরিবর্তন ঘটবে। প্রতি বছর ২১ মার্চ তারিখেই সূর্য উত্তর থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত কল্পিত বিষূব রেখা অতিক্রম করবে (কল্পিত হলেও এ রেখাটিই পৃথিবীর মাঝামাঝিতেই অবস্থিত)। ঠিক এ সময় সূর্য দক্ষিণ গোলার্ধের এলাকা থেকে উত্তর গোলার্ধের এলাকায় প্রবেশ করবে। এ ঘটনাটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময় ঘটবে। কোথাও ১৯ মার্চ আবার কোথাও ২০ মার্চ এবং পৃথিবীর কোনো কোনো এলাকায় ২১ মার্চ ঘটে থাকে। বাংলাদেশে এ ঘটনাটি ঘটবে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দিবাগত রাত ৩টা ৫৮ মিনিটে।
পৃথিবী সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণকালে পৃথিবীর মেরু রেখা ধ্রুবতারা মুখী হয়ে কক্ষপথের সাথে সব সময় ৬৬.৫ ডিগ্রি কোণ করে হেলে থাকে। আবার নিরক্ষ রেখা বা বিষূব রেখার সমতল কক্ষপথের সাথে ২৩.৫ ডিগ্রি কোণে হেলে থাকে। এ কারণে প্রতি বছর ২১ মার্চ ও ২৩ সেপ্টেম্বর পৃথিবীর সর্বত্র দিবা-রাত্রি সমান হয়ে থাকে। উত্তর ও দক্ষিণ মেরু বিন্দু থেকে পৃথিবী সমান দুরত্বে অবস্থান করে। তখন পৃথিবীর সর্বত্র সূর্য কিরণ সমানভাবে পায়। এই সময় পৃথিবীর দুই গোলার্ধেই দিনের বেলা ১২ ঘন্টা করে আলো পায় এবং রাতের বেলা ১২ ঘন্টা সূর্যের আলো থাকে না অর্থাৎ পৃথিবীর দুই গোলার্ধেই দিন-রাত সমান হয়ে থাকে।
২১ মার্চ ও ২৩ সেপ্টেম্বর নিরক্ষ রেখায় সূর্যের আলো ৯০ ডিগ্রি কোণে ও সুমেরু ও কুমেরু বৃত্তে ৬৬.৫ ডিগ্রি কোণে আপতিত হয়। ২১ মার্চের পর ২১ জুন পৃথিবীর উত্তর মেরু সবচেয়ে বেশি সূর্যের দিকে ঝুঁকে থাকে। তখন উত্তর মেরুতে ২১ জুন দিন সবচেয়ে বড় হয়ে থাকে। একই সময়ে দক্ষিণ মেরু সূর্য থেকে সব থেকে দুরে সরে যায়। ফলে এ দিন দক্ষিণ মেরুতে সবচেয়ে ছোট দিন।