পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সে সময় অন্য দেশগুলোকেও ইরানের তেল কেনা থেকে সরে আসার আহ্বান জানান। সেই সাথে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছিলেন, এ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষাকারী দেশগুলোর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এ নিষেধাজ্ঞা থেকে ভারত-তুরস্কসহ কিছু দেশকে কয়েক মাসের জন্য ছাড় দেয়া হয়েছিল।
ইরান দাবি করছে, বিশ্বের তেলের বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে ট্রাম্পের এসব একতরফা পদক্ষেপের কারণেই। ইরানের জ্বালানিমন্ত্রী বিজান নামদার জেনগেনেহ অভিযোগ করেন, তেলসমৃদ্ধ দেশগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা, তেলবাণিজ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা, তেলের দাম নিয়ে নিয়মিত মন্তব্য করে যাওয়া ইত্যাদি তেলের বাজারকে অস্থির করে তোলে।
সেই সাথে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সংগঠন ওপেক ও পেট্রোপণ্যের দর নিয়েও অবিরামভাবে টুইটারে নিজের বক্তব্য প্রকাশ করতে থাকেন। এগুলো তেলের বাজারকে অস্থিতিশীল করে রাখছে। গত শনিবার তার এসব মন্তব্য সংবাদ মাধ্যম সানায় প্রকাশিত হয়।
এক পর্যায়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের লোকেরা খুব বেশি কথা বলেন। আমার কথা শুনুন, দয়া করে একটু কম কথা বলুন। কারণ এতে তেলের বাজারে সমস্যা তৈরি হয়। আর এ রকম চলতে থাকলে বাজারে আরো চাপ বাড়বে।