নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডের্ন বলেছেন ক্রাইস্টচার্চে হামলার ঘটনার পর নিউজিল্যান্ডের মন্ত্রিসভা সেদেশের অস্ত্র আইন সংস্কারে ‘নীতিগত’ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চের দু’টি মসজিদে হামলার পর ৫০ জন নিহত হয়েছেন এবং অনেকে আহত হয়েছেন। ২৮ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ান ব্রেন্টন টারান্টকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ঐ হামলার পর নিউজিল্যান্ডের অস্ত্র আইন সংস্কারের বিষয়টি আলোচনায় আসে।
হামলার পর প্রধানমন্ত্রী আর্ডেন বলেছিলেন, “আমাদের অস্ত্র আইন পরিবর্তিত হবে।”
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে আর্ডেন আশা প্রকাশ করেন, অস্ত্র আইন সংস্কারের বিস্তারিত ২৫ মার্চের মধ্যে প্রকাশ করতে পারবেন তিনি।
“এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে, ঐ সন্ত্রাসবাদী ঘটনার ১০ দিনের মধ্যে আমরা আমাদের অস্ত্র আইন পরিবর্তনের ঘোষণা করবো যা আমাদের (নিউজিল্যান্ডের মানুষকে) নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বলে আমার বিশ্বাস।”
তিনি জানান, ক্রাইস্টচার্চ হত্যাকান্ডের বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে।
হামলায় আহত ৯ জনের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। ক্রাইস্টচার্চ হামলায় হতাহতদের স্মরণে গত কয়েকদিন নিউজিল্যান্ড জুড়ে বিভিন্ন রকম আয়োজন করা হয়।
নিউজিল্যান্ডের পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন এরই মধ্যে সেমি-অটোম্যাটিক অস্ত্রের বৈধতা বাতিলের দাবি তুলেছে বলে রেডিও নিউজিল্যান্ডের খবরে বলা হচ্ছে।
এর আগে নিউজিল্যান্ডের অস্ত্র আইনে কড়াকড়ি আরোপ করার চেষ্টা করা হলেও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবসায়ীদের শক্ত অবস্থান এবং এবং নিউজিল্যান্ডে শিকার করার সংস্কৃতির কারণে তা সম্ভব হয়নি।
নিউজিল্যান্ডের অস্ত্র আইন
অস্ত্রের মালিকানা পাওয়ার আইনত বৈধ বয়স ১৬। মিলিটারি স্টাইল সেমি-অটোম্যাটিক বন্দুকের মালিকানার জন্য বৈধ বয়স ১৮।
নিউজিল্যান্ডে প্রায় ১৫ লাখ ব্যক্তি মালিকানাধীন আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে।
সব অস্ত্রের মালিকের লাইসেন্স প্রয়োজন হলেও প্রতিটি অস্ত্রই যে নিবন্ধনকৃত হতে হবে, এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই ব্যক্তির অতীত কার্যকলাপ এবং স্বাস্থ্য যাচাই করতে হবে। একবার লাইসেন্স পাওয়ার পর অস্ত্রের মালিক যতগুলো ইচ্ছা ততগুলো অস্ত্র কিনতে পারবেন।