চৌকিদার হওয়ার ধুম পড়েছে ভারতে

নির্বাচন সামনে আসলে এই পাক-ভারত উপমহাদেশে অনেক কিছুই করতে হয়। যেমন ভারতের প্রধানমন্ত্রী এখন হয়ে গেছেন ‘চৌকিদার নরেন্দ্র মোদী’। রোববার থেকেই নিজের টুইটারে ঝুলিয়ে দিয়েছেন নতুন এই নামটি। তার দাবি, তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রীই নন, দেশের চৌকিদারও।

এতটুকু পর্যন্ত ভালোই চলছিল। কিন্তু এরপরই শুরু হয় আরেক অধ্যায়। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন যেমন নিজের মতো করেই অন্যদের চুল কাটতে বলেন, তেমনি মোদিও দলের ছোট-বড় নেতা, সমর্থকদের নামে আগে ‘চৌকিদার’ শব্দটি যোগ করার আহ্বান জানান।
মুহূর্তের মধ্যে ভারতে চৌকিদারের সংখ্যা বেড়ে যায় ব্যাপকভাবে।

অমিত শাহ, পীযূষ গয়াল, শিবরাজ সিংহ চৌহান, বাংলার মুকুল রায়রাও নিজের নামের আগে ‘চৌকিদার’ শব্দটি জুড়ে দেন টুইটারে। প্রথম দিকে নিতিন গডকড়ি, রাজনাথ সিংহ, অরুণ জেটলি, সুষমা স্বরাজের মতো নেতারা এ থেকে দূরে সরে ছিলেন। কিন্তু পরে তারাও মোদীকে ‘ফলো’ করেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আসলে মোদি এখানে ‘দশে মিলি করি কাজ হারি জিতি নাহি লাজ’ এই থিওরিটা অনুসরণ করতে চাইছেন। কারণ কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি যেভাবে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ স্লোগানটিকে জনপ্রিয় করে তুলছেন, তা থেকে রেহাই পেতেই যেন ‘চৌকিদার’কেই সবার মাঝে ভাগ করে দিচ্ছেন।

এদিকে চৌকিদার হয়েই যে ভোটের ময়দানে মাত করে দিচ্ছেন তা নয়। জনগণের প্রশ্নের মুখেও পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে গত পাঁচ বছরে যেসব মুসলমান হত্যার শিকার হয়েছেন বা গুম হয়েছেন তাদের স্বজনেরা চৌকিদারদের প্রতি প্রশ্ন তুলছেন, এত চৌকিদার থাকতে আমাদের সন্তানদের খবর পাচ্ছি না কেন? এ ধরনের প্রশ্নের জবাবে বিব্রত হতে হচ্ছে চৌকিদারের দল বিজেপিকে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top