নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে জুমার নামাজের সময় মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় ৪৯ জন মুসুল্লি নিহত হওয়ার ঘটনায় হত্যাকারী ট্যারেন্টের পরিবারের সন্ধান পাওয়া গেছে অস্ট্রেলিয়ায়। সিডনি মর্নিং হেরাল্ড পত্রিকার খবরে জানা গেছে, নিউজ নাইন নামের একটি অস্ট্রেলীয় টিভি চ্যানেল ট্যারেন্টের পরিবারের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূলীয় শহর গ্রাফটনে বসবাস তাদের। তারা এই ঘটনার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে ক্ষমা চেয়েছেন।
অন্তত দুই বছর আগ থেকে ট্যারেন্ট এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করছিলো বলে ধারণা করছেন তদন্তকারীরা। ঘটনার সময় তিনি ফেসবুক লাইভ চালু করে হত্যাকাণ্ড চালান এবং এর আগে তিনি একটি ইশতেহার অনলাইনে ছড়িয়ে দেন। ঘটনার সময় তিনি প্রথমে আল নুর মসজিদে গুলি চালিয়ে ছুটে যান লিনউড মসজিদে। সেখানেও গুলি চালিয়ে এরপর পালিয়ে যান।
ওই ঘটনায় নিহতরা বেশির ভাগই অভিবাসী মুসলিম। নিহতদের মধ্যে বাংলাদেশী রয়েছেন ৫ জন। শান্তি ও সুন্দরের দেশ হিসেবে পরিচিত নিউজিল্যান্ডে এমন বর্বর হত্যাকাণ্ডের খবরে সবাই বিস্মিত। আর ট্যারেন্ট কেন এমন ঘটনায় জড়িত হলো সেটিও বুঝতে পারছে না তার পরিবার।
২০১০ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ট্যারেন্টের বাবা মারা যায়। তার মা কোথায় আছে সে ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি ওই রিপোর্টে। তবে দাদী ও এক চাচার সাক্ষাৎকার নিয়েছে নিউজ নাইন। সেখানে দাদী বলেছেন, তিনি ছোট বেলা থেকে ট্যারেন্টকে কোলে-পিঠে করে মানুষ করেছেন।
ট্যারেন্টের পরিবার ক্রাইস্টচার্চের হত্যাকাণ্ডকে অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে উল্লেখ করে তারা এই ঘটনার হতাহতদের কাছে জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।
ট্যারেন্টের দাদী ম্যারি ফিটজেরাল্ড(৮১) নিউজ নাইনকে বলেন, ২৮ বছর বয়সী নাতি ট্যারেন্ট ও তার বোনকে আমি ছোট বেলা থেকেই কোলে-পিঠে করে মানুষ করেছি। খুব সাধারণ একটি মানুষ ছিলো সে সেই সময়। বেশির ভাগ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে কাটাতো।
ম্যারি বলেন, কিন্তু শুক্রবার সে যে সহিংসতা ঘটিয়েছে তাতে আমরা বিস্মিত। ছোট বেলা থেকে যে ছেলেটিকে আমরা চিনতাম, এ সে নয়। সে পুরোপুরি বদলে গেছে।
ট্যারেন্টের চাচা টেরি ফিটজেরাল্ড বলেন, হতাহত ও তাদের পরিবারের দুঃখগুলো ছাড়া আর কিছু আমার মাথায় আসছে না। এই ঘটনার জন্য পরিবারগুলোর কাছে আমরা দুঃখিত।