গোটা নিউজিল্যান্ড যখন মসজিদে ঢুকে ৪৯ জন মুসলমানকে হত্যা করার শোক কাটিয়ে ওঠার চেষ্টায়, ঠিক তখনই দেশটির অকল্যান্ডে হিজাব পরার দুই মুসলিম নারীর সাথে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ পাওয়া গেলে। নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড পত্রিকা জানিয়েছে, অকল্যান্ডের এমটি অ্যালবার্ট রেল স্টেশনে রোববার হিজাব পরার কারনে দুই বোনকে গালি দেয়া হয়।
তাদের একজন ২১ বছর বয়সী ইকরা জানিয়েছেন, বাইরের পরিবেশ নিরাপদ হয়েছে এটা পরিবারকে বুঝিয়েই তারা বের হয়েছেন, কিন্তু ট্রেন স্টেশনে এসে এমন ঘটনার মুখোমুখী হতে হবে তা কল্পনাও করেননি। ছোট বোনকে সঙ্গে নিয়ে কোথাও যাচ্ছিলেন। স্টেশনে যখন ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন সে সময় এক শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তি অত্যন্ত আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে তাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তোমাদের…(অশ্লীল) দেশে ফিরে যা ‘। সে আরো বলেন, ‘কী দেখছো? আমি মেয়েদের ঘৃণা করি, তোমাদের…. দেশে ফিরে যাও’।
ইকরা জানান, আত্মীয় স্বজন ও বন্ধুরা বলছেন এখন থেকে নিরাপদ থাকতে হলে বাইরে হিজাব না পরতে। তিনি বলেন, সেটি আমাদের জন্য খুবই বিব্রতকর পরিস্থিতি হবে।
রোববার স্থানীয় সময় বেলা একটার দিকে নিউজিল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলীয় নগরীটিতে তারা এই ঘটনার মুখোমুখী হন। ইকরা বলেন, মুসলিম ভাই বোনদের এখন খুবই সতর্ক থাকতে হবে বাইরে বের হওয়ার আগে। এবং সব সময় দল বেঁধে ঘুরতে যেতে হবে। তিনি বলেন, সবচেয়ে দুঃখের বিষয় যে ঘটনার সময় সেখানে কোন নিরাপত্তা কর্মীকে পাওয়া যায়নি।
মাত্র একদিন আগে শুক্রবার জুমার নামাজের সময় দেশটির দক্ষিণ আইল্যান্ডের উপকূলীয় নগরী ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে গুলি চালিয়ে ৪৯ জনকে হত্যা করেছে এক শ্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসী। ওই ঘটনার পর দেশটির মুসলিমরা এমনিতেই শঙ্কায় রয়েছে। এরই মধ্যে নতুন এই ঘটনা তাদের আরো বেশি অনিশ্চয়তায় ফেলতে পারে।