নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুই মসজিদে বন্দুকধারীর হামলায় নিহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত চারজন বাংলাদেশী বলে জানিয়েছে সরকার।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম আজ রোববার বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড সরকার আমাদের দুজন বাংলাদেশী নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বাকি দুজন নিহতের তথ্য আমরা নিশ্চিত হয়েছি সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির লোকজনের মাধ্যমে।’
নিহতদের মধ্যে দুজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন ড. আবদুস সামাদ ও হোসনে আরা আহমেদ। নিহতের সংখ্যা ছয়জন পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী জানান, নিউজিল্যান্ড সরকার বাংলাদেশকে জানিয়েছে, নিহত প্রত্যেকের পরিবারের একজন ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের কাছে তারা লাশ হস্তান্তর করবে এবং তারা লাশ দেশে ফিরিয়ে আনতে পারবে।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ড. সামাদের পরিবার তাকে নিউজিল্যান্ডে কবর দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং নিহতের বড় ছেলে বাংলাদেশ থেকে সেখানে যাবেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের হটলাইনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টরা যোগাযোগ করতে পারবেন। নিউজিল্যান্ডে অনারারি কনসাল শফিকুর রহমানের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা যাবে (+৬৪ ২১০২৪ ৬৫৮১৯)। জরুরি যোগাযোগের জন্য দুটি নম্বর হচ্ছে +৬১ ৪২৪ ৪৭২৫৪৪, +৬১ ৪৫০১৭৩০৩৫।’
শুক্রবার জুমার নামাজের সময় ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে নৃশংস হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত ও ৪৮ জন আহত হন।
এক কর্মকর্তা জানান, এখনো বাংলাদেশি নাগরিক মো: ওমর ফারুক ও মোজাম্মেল নিখোঁজ রয়েছেন। সম্ভবত তারা মারা গেছেন। এ ছাড়া জাকারিয়া ভূঁইয়াও নিখোঁজ রয়েছেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, আহতদের মধ্যে লিপির অবস্থা সংকটাপন্ন। তাকে আরেকটি অস্ত্রোপচার করা লাগতে পারে। এ ছাড়া পায়ে গুলিবিদ্ধ মুতাসসিম ও শেখ হাসান রুবেলের অবস্থা বিপদমুক্ত।
ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার পর অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরাতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রবাসীদের বাংলাদেশিদের নিরাপত্তার জন্য নিউজিল্যান্ড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রাখছে।
এদিকে, হাইকমিশন সরাসরি ও অকল্যান্ডে বাংলাদেশের অনারারি কনসুলারের মাধ্যমে নিউজিল্যান্ডে বসবাসরত বাংলাদেশিদের শান্ত থাকতে, বাড়ির ভেতরে থাকতে, জনসমাবেশ এড়াতে এবং দেশটির আইনি নির্দেশ মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বার্তা পাঠানো হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশিদের সব রকমের সহায়তার জন্য শফিকুর রহমান শনিবার সকালে ক্রাইস্টচার্চে যান।