আগামীকাল সোমবার ক্লাস পরীক্ষা বর্জন, ভিসির বাসভবন ও রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থানের কর্মসূচি দিয়ে নতুন করে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী। এ সময় পাঁচ দফা দাবিও উত্থাপন করেন তিনি।
আজ রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন লিটন নন্দী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ছাড়া বাকি যারা নির্বাচন বর্জন করেছে তার মধ্যে একটি প্যানেলের প্রধান নুরুল হক। তিনি গতকাল গণভবনে যে বক্তব্য দিয়েছে তার সাথে আমাদের প্যানেলের বক্তব্য পুরোপুরি সাংঘর্ষিক। আমরা আগেও বলেছি এখনো বলছি- এই প্রহসনের নির্বাচন প্রত্যাখান করেছি।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ২৮ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে নির্বাচন হয়েছে সে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় রচিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ১০ মার্চ আমরা ৫টি প্যানেল, প্রগতিশীল ছাত্রঐক্য, সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, স্বতন্ত্র জোট, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন ও স্বতন্ত্র পরিষদ মিলে চীফ রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ভিসির নিকট কিছু লিখিত দাবি জানিয়েছিলাম একটি সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের স্বার্থে। আমরা বলেছিলাম, ১১ মার্চ সকালের আগে ব্যালট পেপার যাতে কেন্দ্রে পৌঁছানো না হয়। আমাদের সেই সব দাবি অগ্রাহ্য করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় রচনা করেছে।
ঘোষিত পাঁচদফা দাবির মধ্যে রয়েছে, জালিয়াতির ডাকসু নির্বাচন বাতিল করতে হবে; পুনরায় তফসিল ঘোষণা করতে হবে; এই নির্বাচনের সাথে জড়িত রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ ভিসির পদত্যাগ করতে হবে; মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে; হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হবে।