নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরে দুটি মসজিদে হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭ ভারতীয়ের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে চার জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে তাদের পরিবার। এই চারজনের মধ্যে একজন হায়দরাবাদের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, একজন কেরালার ছাত্রী এবং আরো দুজন রয়েছেন গুজরাটের। ভারতীয় বংশোদ্ভূত আরো তিনজনেরও মৃত্যুর খবর মিলেছে। যারা গুজরাট ও তেলেঙ্গানা থেকে কর্মসূত্রে নিউজিল্যান্ডে গিয়ে বসবাস করছিলেন।
হায়দরাবাদের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ফরহাজ আহসানের পরিবার টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে জানিয়েছে, ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসবাদী হামলায় নিহত ৪৯ জনের মধ্যে তাদের ছেলেকেও শনাক্ত করা হয়েছে। স্ত্রী ইশা আজিজ ও দুই সন্তানকে নিয়ে ক্রাইস্টচার্চে ছিলেন ফারহাজ। পাসপোর্ট তথ্য অনুযায়ী ফারহাজের জন্ম ওয়ারঙ্গলে। তার বাবা থাকেন মেহদিপতনমে। শ্বশুরবাড়ি দিলখুশনগরে।
নিউজিল্যান্ডে নিহত দ্বিতীয় ভারতীয় কেরালার ত্রিসূরের বাসিন্দা অ্যান্সিয়া আলিবাভা। স্বামীর সাথে মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তার স্বামীরও গুলি লেগেছে। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। অ্যান্সিয়ার পরিবার জানায়, তারা মেয়ের মৃত্যুর খবর পেলেও নিউজিল্যান্ড সরকার বা ভারত সরকারের পক্ষ থেকে সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি।
এ ছাড়া নিহত চার গুজরাটির মধ্যে বাবা-ছেলে আরিফ বহরা ও রামিজ বহরা রয়েছেন। এদের বাড়ি ভাদোদরায়। বাকি দুজন প্রবাসীর একজনের বাড়ি ভারুচে, নাম হাফিজ মুসা বালি পটেল। অন্য জনের বাড়ি নবসারিতে। ক্রাইস্টচার্চ শুটিংয়ের পর বাবা-ছেলে নিখোঁজ ছিলেন। শনিবার তাদের লাশ শনাক্ত করা হয়। জানা গেছে, আরিফের বড় ছেলে রাহিল অস্ট্রেলিয়া থেকে এসে বাবা ও ভাইকে শনাক্ত করেন।