ঢাকাSunday , 17 March 2019
  1. Correspondent
  2. English News
  3. আজকের ময়মনসিংহ
  4. আদালত
  5. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  6. ইসলাম ও জীবন
  7. এক্সক্লুসিভ ময়মনসিংহ
  8. করোনা আপডেট
  9. করোনায় সহযোগীতা
  10. খেলার সংবাদ
  11. চাকুরী
  12. ছবি গ্যালারী
  13. জাতীয় অহংকার
  14. জাতীয় নির্বাচন ২০১৮
  15. জাতীয় সংবাদ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নিউজিল্যান্ড বিভীষিকা : কতজন বাংলাদেশী নিহত হয়েছে?

Link Copied!

নিউজিল্যান্ডে আল নুর মসজিদে হামলার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৪৯ জন বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। তবে, কর্তৃপক্ষ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে নিহতদের শনাক্ত বা তাদের নাম প্রকাশ করেনি।

কিন্তু নিহতদের মধ্যে বাংলাদেশী কতজন সে নিয়ে রয়েছে সংশয়। এছাড়া যারা আহত অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছেন, তাদের নিয়েও রয়েছে উদ্বেগ আর উৎকন্ঠা।

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে শুক্রবারের হামলায় আহত হয়ে যেসব বাংলাদেশী হাসপাতালে রয়েছেন, তাদের খোঁজখবর রাখতে এবং প্রয়োজনে রক্ত দেয়া ও অন্যান্য সহযোগিতার জন্য স্থানীয় বাংলাদেশীরা পালাক্রমে হাসপাতালে থাকছেন বলে জানিয়েছেন তাদের বন্ধু ও সহকর্মীরা।

হামলার দিন মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন জাকারিয়া ভুঁইয়া। হামলায় জাকারিয়া ভুঁইয়া মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন তাদের বন্ধু মোহাম্মদ বাবুল ইসলাম।

” সব লাশ মসজিদ থেকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। ভেতরে ৪১ জন নিখোঁজ ছিলেন, সবাই মারা গেছেন। জাকারিয়া ভাই ভেতরে ছিলেন। তবে কর্তৃপক্ষ আমাদের কারো লাশ দেখতে দেয় নাই এখনো।”

ইসলাম জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন অন্তত পাঁচজন বাংলাদেশী। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এদিকে নিউজিল্যান্ডের কর্তৃপক্ষ এখনো কারো লাশ শনাক্ত করা কিংবা নিহতদের নাম প্রকাশ করার কাজটি করেনি। তবে দ্রুতই সেটি করা হবে বলে কর্তৃপক্ষ হাসপাতালে অপেক্ষমান স্বজনদের জানিয়েছে বলে মিঃ ইসলাম জানিয়েছেন।

এর আগে ঐ হামলায় বাংলাদেশের তিনজন নিহত হয়েছেন বলে শুক্রবার জানিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা। এর মধ্যে নিউজিল্যান্ডের লিঙ্কন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ড. আবদুস সামাদ ও তার স্ত্রী এবং আরেকজন নারী রয়েছেন বলে জানানো হয়।

কিন্তু পরে বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে দূতাবাসের অনারারী কনসাল শফিকুর রহমার ভুঁইয়া জানিয়েছেন, ড. আবদুস সামাদের স্ত্রী বেঁচে আছেন বলে দূতাবাসকে জানিয়েছেন তাদের ছেলে। ড. আবদুস সামাদের ছেলে তারেক মোহাম্মদ জানিয়েছেন, তার বাবা মারা গেছেন কিনা সেটি এখনো নিশ্চিত নন তারা।

“আমি নিশ্চিত না আমার বাবা মারা গেছেন কিনা, এজন্য আমরা হাসপাতালের লিস্টের জন্য অপেক্ষা করছি। সেই লিস্টে যদি তার নাম না থাকে তাহলে বুঝতে হবে তিনি ক্রিটিক্যালি ইনজ্যুরড হয়েছেন। কারণ তিনি যেরকম মানুষ, দুই দিন হয়ে গেছে, কোনো ফোন দেন নাই তিনি। ন্যুনতম সেন্স থাকলেও তিনি আমাদের জানাতেন। এখন আমরা জানতে চাই, তিনি বেঁচে আছেন কিনা।”

এদিকে, হামলার ঘটনার পর থেকে ক্রাইস্টচার্চে বসবাসরত বাংলাদেশীদের মধ্যে এক ধরণের ভীতি ও শংকা তৈরি হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতার আশ্বাসের পরও নানা ধরণের উদ্বেগ আর উৎকন্ঠা রয়েছে তাদের মধ্যে, বলছিলেন সেখানকার একজন বাসিন্দা ফারহানা আলম।

“একটু ভয় লাগছে, কারণ আমি মুসলমান। কারণ কেউ স্বপ্নেও ভাবেনি নিউজিল্যান্ডে এমন কিছু হতে পারে। কিন্তু কিউইরা খুবই সাপোর্টিভ। আমরা যাদের সঙ্গে চলাফেরা করি বা কাজ করি, তারা বলছে যে ‘দিস ইজ নট দ্য নিউজিল্যান্ড উই নো’। তারপরও এখন কী হবে তাতো বলা যাচ্ছে না।”

“আমরা তো ভয়ের মধ্যে আছি। অনেকে ভয়ে আছে যে এটার পরে এটার বিপক্ষে আবার অন্য কোন অ্যাটাক হয় কিনা। অথবা এই দলেরই অন্য কোন প্ল্যান আছে কিনা, সেটা নিয়ে সবারই উদ্বেগ আছে।”

মিসেস আলম জানিয়েছেন, পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের ভয় না পাবার আহ্বান যেমন জানাচ্ছেন, তেমনি যেকোনো বিপদে তাদের পাশে থাকার আশ্বাসও দিচ্ছেন।
সূত্র : বিবিসি

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।