ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরসহ নবনির্বাচিত নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবন গণভবনে যাচ্ছেন।
আজ বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নবনির্বাচিত নেতাদের সাক্ষাতের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
ছাত্রলীগ থেকে নবনির্বাচিত নেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাল বাসে গেলেও স্বতন্ত্ররা যাচ্ছেন আলাদাভাবে।
একটি সূত্রে জানা যায়, ভিপি নুরুল হক নুরসহ স্বতন্ত্রদের জন্য গণভবন থেকে গাড়ি পাঠানো হয়েছে।
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কোটা আন্দোলনকারীদের ফেসবুক পেজসহ কোটা আন্দোলনের নেতা মুহাম্মদ রাশেদ খান তার নিজের ফেসবুক আইডি থেকে জানান, ‘নুর গণভবনে গেছেন উবারে।’
এব্যাপারে ভিপি নুরের সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
হল সংসদের ২৩৪ জন নির্বাচিত প্রতিনিধিও গণভবনে গেছেন। এদের মধ্যে ছাত্রলীগ সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদের প্যানেল থেকে নির্বাচিত ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, ডাকসুর এজিএস ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ অন্যরা দশটি গাড়িতে করে যান। তাদের নেতৃত্বে আছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক শোভন।
প্রধানমন্ত্রীর চায়ের আমন্ত্রণে ডাকসু ও হল সংসদের নেতারা ছাড়াও ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, দুই প্রো-ভিসি, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষরা ছাড়াও শিক্ষক নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
এর আগে নব নির্বাচিত জিএস গোলাম রব্বানি বলেন, আজ বিকেলে আমরা প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে গণভবনে যাচ্ছি। সাথে ডাকসুতে কেন্দ্রীয় সংসদে নির্বাচিতরা থাকবেন।
তবে ভিপি নুরুল হকের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করে ও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ফোনে আমন্ত্রণ জানানো হয় তাদের। আমন্ত্রণের প্রতিক্রিয়ায় তখন নবনির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নুর জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী ডাকসুতে নির্বাচিতদের চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তাতে আমাদের যাওয়া উচিত।
রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশন পালন করা শিক্ষার্থীদের দেখতে এসে শুক্রবার দুপুরে ভিপি নূরুল হক জানান, তিনি আমাদের প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তি। তিনি শুধু আমাকে একা ডাকেননি। যারা নির্বাচিত হয়েছেন সবাইকে ডেকেছেন। স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তাদেরও তিনি ডেকেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরাই আমাকে নির্বাচিত করেছেন। শিক্ষার্থীদের চাওয়া পাওয়ার অনেক কথা আছে। আমি যদি প্রধানমন্ত্রীর কাছে সেসব বিষয় তুলে ধরতে পারি আশা করছি সমাধান হবে। আশা করছি প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণে যাওয়ার বিষয়ে তারা এগ্রি হবেন।
তবে যাওয়ার বিষয়ে আমার একার সিদ্ধান্ত নয় অন্যান্যদের সাথেও পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিব। তবে আমি যাওয়ার বিষয়ে পজেটিভ।
প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে অনশনরত এক শিক্ষার্থী না করলে নূরুল বলেন, আমি শুরু থেকেই পুনর্নির্বাচনের কথা বলে আসছি। আপনাদের সাথে আমি একমত। আমি এখনো দায়িত্ব নিইনি। কোন সিদ্ধান্ত আমি নিতে পারি না। সবার সাথে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।