দক্ষিণ চীন সাগরের ওপর দিয়ে দুইটি পরমাণু-বোমারু বিমান পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে একই মাসের দ্বিতীয়বার একই ঘটনা ঘটল। বিরোধপূর্ণ কৌশলগত অঞ্চলে চীনের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান দেখানোর জন্য ওয়াশিংটনের প্রতি বেইজিংয়ের আহ্বানকে উপেক্ষা করে এ তৎপরতা চালানো হলো।
মার্কিন প্যাসিফিক এয়ারফোর্স বা পিএসিএফের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরের ওপর দিয়ে মার্কিন দু’টি বি-৫২ বোমারু বিমান উড়ে গেছে।
গুয়ামের মার্কিন ঘাঁটি থেকে এ দুই বিমান আকাশে উড়েছিল বলে পিএসিএফের মুখপাত্র জানান। উড্ডয়ন শেষে বিমান দু’টি আবার নিজ ঘাঁটিতে ফিরে এসেছে বলেও জানান তিনি। চলতি মাসের ৬ তারিখে একই ঘটনা ঘটেছিল। এ দিকে গত বছরের সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসেও পূর্ব এবং দক্ষিণ চীন সাগরের ওপর দিয়ে একই বিমান উড়েছে।
‘পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি আবার শুরুর কথা ভাবছে উ. কোরিয়া’
আমেরিকার সঙ্গে চলমান আলোচনা প্রক্রিয়া থেকে বের হয়ে আসার কথা ভাবছে উত্তর কোরিয়া। পাশাপাশি পুনরায় পরমাণু এবং ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি চালু করার কথাও ভাবছে দেশটি। পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনা যখন প্রায় অচলাবস্থায় রয়েছে তখন এ রকম আভাস দেয়া হলো।
উত্তর কোরিয়ার উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী চো সান হুই আজ(শুক্রবার) বলেছেন, দেশটির নেতা কিম জং-উন এ আলোচনার বিষয়ে শিগগিরই ঘোষণা দিবেন। তিনি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর গত মাসে হ্যানয়ে থেকে পিয়ংইয়ং ফেরার পথে কিম বলেছিলেন, আবার কিসের স্বার্থে ট্রেন সফর করবো?
ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে শীর্ষ আলোচনা থেকে একক ভাবে ট্রাম্প বের হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়ার ওপর আরোপিত সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারেরে দাবি করেছিল পিয়ংইয়ং। তবে তার এ বক্তব্য নাকচ করে দিয়ে পিয়ংইয়ং বলেছে, তারা নিষেধাজ্ঞা আংশিক প্রত্যাহারের দাবি তুলেছিলেন।
চো সান হুই হুশিয়ারি উচ্চারণ করে আরো বলেন, আমেরিকার মাতব্বরসুলভ ভূমিকা পরিস্থিতিকে আরো বিপজ্জনক করে তুলবে।
সূত্র : পার্স টুডে