ভোটদান প্রক্রিয়া সহজ করতে বিভিন্ন দেশে যুক্ত হচ্ছে ইভিএম। কিন্তু ইলেকট্রনিক বস্তু হওয়ায় এতে কারচুপির অভিযোগ থেকে যায়। বাংলাদেশের বিভিন্ন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হলেও স্বচ্ছতার প্রশ্নে উৎরে যেতে পারেনি। এবার ভারতেও ওঠেছে সে প্রশ্ন। তাতে যুক্ত হয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
লোকসভা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হতেই ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এ ব্যাপারে ২১টি বিরোধী দল সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে এর জবাব চেয়ে পাঠানো হয়। সুপ্রিম কোর্ট বলেন, বিরোধীরা যে অভিযোগ তুলেছে সে ব্যাপারে কমিশনকে নিজের বক্তব্য জানাতে হবে।
অভিযোগকারী দলগুলোর মূল আপত্তি ইভিএমের স্বচ্ছতা সম্পর্কে। অনেক দলই মনে করে, ইভিএমে জনমতের প্রতিফলন সঠিক হয় না। তাতে কারচুপি করার সুযোগ থাকে। এর পাশাপাশি ইভিএমের অন্তত ৫০ শতাংশ মেশিনের ভিভিপ্যাট গোনার দাবি করছে বিরোধী দলগুলো।
তবে ভারতের নির্বাচন কমিশন মনে করে, ইভিএমের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায় না। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল রাওয়াত বিরোধীদের দাবি মানতে রাজি হননি। তিনি বলেন, নির্বাচনে হেরে গেলে রাজনৈতিক দলগুলো ইভিএমের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন করে।
উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে বিজেপির বিরাট ব্যবধানে জয়ের পর থেকে একাধিকবার ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ওই নির্বাচনে ভরাডুবির পর উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী ইভিএমের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এরপর দিল্লিতে পৌরসভা নির্বাচনের পর ইভিএমকে কাঠগড়ায় তোলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
গত জানুয়ারি মাসে কলকাতার বিগ্রেড ময়দানে সভা করে বিরোধী দলগুলো। তৃণমূলের আহ্বানে সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন দেশের বিরোধীদলগুলোর নেতৃবৃন্দ। সেখানে কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহও সেই একই অভিযোগ করেন।
এদিকে বিরোধী দলগুলো সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করলেও নির্বাচন কমিশন এর আগেই এ ব্যাপারে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। কমিশন বলেছিল, কেউ ইভিএম হ্যাক করে দেখাতে পাললে কমিশন সেই বক্তব্য মেনে নেবে।