সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে ডিজিটাল প্রতারণা বা অপরাধের হার অনেক বেড়ে গেছে। হঠাৎ করেই বিপদে পড়ে যাচ্ছেন অতি সতর্ক ব্যক্তিটিও। বুঝে উঠতে পারেন না কী করা উচিত। এ অবস্থায় ওই প্রতারক বা অপরাধী আরো অনেক ক্ষতি করে ফেলে। বাংলাদেশে এ ধরনের প্রতারণা বা অপরাধ দমনে ডিএমপির সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ডিভিশন কাজ করে যাচ্ছে। যে কেউ এ ধরনের সমস্যায় পড়লে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এক্ষেত্রে যত দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া যাবে, ততই ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
তবে এসব ক্ষেত্রে প্রথমে নিজেকেই সাবধান থাকতে হবে । আর তাই ফেসবুক বা ডিজিটাল মাধ্যমে অজানা বিদেশীর সাথে বন্ধুত্ব করে বা প্রেমে পড়ে গিফট সামগ্রীর লোভে সর্বস্ব হারাবেন না। মনে রাখবেন কেউ শুধু শুধু আপনাকে গিফট দিবে না। এর মাধ্যমে শুধুই প্রতারণার শিকার হবেন। লটারি জিতেছেন শুনে কাউকে কোনো তথ্য বা টাকা দিবেন না।
মোবাইল ব্যাংকিং-এর এজেন্ট বা কর্মকর্তা পরিচয়ে কেউ ফোন দিলে সাইবার পুলিশের সাথে যোগাযোগ না করে কোনো লেনদেন করবেন না। মনে রাখবেন মোবাইল ব্যাংকিং-এর কোনো কর্মকর্তাই আপনাকে ফোন দিবেন না। কেউ ভুলে টাকা পাঠিয়েছে জানালে, নিজের মোবাইল ব্যাংকিং-এর ব্যাল্যান্স না জেনে অজানা কাউকে টাকা ফেরত দিবেন না। নিজের বিকাশ বা অন্যান্য ব্যাংকিং-এর ওয়ালেটের ব্যালান্স চেক না করে শুধুমাত্র ফেইক বা ভুয়া এসএমএস দেখে কাউকে টাকা পাঠাবেন না।
এয়ারপোর্ট কাস্টমস পুলিশ সেজে পার্সেল পাইয়ে দেয়ার কথা বলেও কিছু এ দেশীয় দালাল যারা নাইজেরিয়ান স্ক্যাম-এর সহযোগী তারা আপনাকে বিপদে ফেলতে পারে, তাদের কথায় কোনো টাকা দেবেন না।
অনলাইনে কেনা কাটায় সাবধান হতে হবে। টাকা পাঠানোর আগে সব দিক চেক করে, বিশেষ করে পণ্যের মান ও প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা বা অন্য কিছু যা দেখে চিহ্নিত করা যায় তা পরীক্ষা করে লেনদেন করুন।
যেকোনো ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কেনাকাটার সময় আপনার গোপন পিন সাবধানে প্রেস করুন যাতে কেউ দেখতে না পারে। ম্যাগবার কার্ড বাদ দিয়ে চিপ যুক্ত কার্ড (ইএমভি) ব্যবহার করুন। এ ক্ষেত্রে আপনার ব্যাংককে তাগাদা দিন নতুবা অন্য ব্যাংক এর চিপ যুক্ত কার্ড ব্যবহার করুন।
এ ধরনের কোনো প্রতারণা বা অপরাধের শিকার হলে দ্রুত থানায় জিডি করে সাইবার পুলিশ এর সহায়তা নিন। সহায়তা নেয়ার জন্য https://www.facebook.com/cyberctdmp ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করতে পারেন।