বেচারা শিয়াল! বয়স হয়নি, তাই হয়তো অভিজ্ঞতাও তেমন হয়নি। নইলে পাঁচ-ছয় মাস বয়সে কি আর সে শিকার করতে যায়? তাও আবার মুরগীর খামারে। যেখানে মোটামুটি তিন হাজার মুরগি ছিল। তাই যা হওয়ার তা-ই হয়েছে। শিকারী শিকারে পরিণত হয়েছে।
ফ্রান্সের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি স্কুলের খামারে ওই ঘটনাটি ঘটে। সেখানে কিছু মুরগী মিলে একটি শিয়াল মেরে ফেলেছে। দেশটির ব্রিটানিতে একটি মুরগীর খাঁচায় শিয়ালটি ঢুকে পড়লে দরজা তৎক্ষণাৎ বন্ধ হয়ে যায়। তারপরেই ঘটে অস্বাভাবিক এ ঘটনাটি।
ফ্রান্সের কৃষি বিষয়ক স্কুল গ্রস-চেনের ফার্মিংয়ের প্রধান প্যাসকেল ড্যানিয়েল বলেন, খাঁচায় ৩,০০০ মুরগী ছিল। আর এটা মুরগীর সহজাত প্রবৃত্তি। তারা ঠোঁট দিয়ে শিয়ালটিকে আক্রমণ করে। মুরগীগুলো দলবদ্ধ অবস্থায় খুবই নাছোড়বান্দা হয়ে উঠতে পারে। পরের দিনে খামারের এক কোণে শিয়ালটির লাশ পাওয়া যায়। এটার ঘাড়ে মুরগীর ঠোকরানোর চিহ্ন পাওয়া যায়।
পাঁচ একর বিস্তৃতির এ খামারে প্রায় ৬,০০০ মুরগীকে প্রাকৃতিক পরিবেশে পালন করা হয়। দিনের বেলায় খাঁচার দরজা খুলে রাখা হয় যাতে মুরগীগুলো বাইরে ঘুরে-ফিরে বেড়াতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, সেসময়ই শিয়াল শাবকটি মুরগীর খাঁচায় ঢুকে পড়ে। এরপর যখন স্বয়ংক্রিয় খাঁচার দরজাটি বন্ধ হয়ে যায়, তখন পাঁচ-ছয় মাস বয়সের এ শিয়ালটি ভেতরে আটকা পড়ে।
ড্যানিয়েল বলেন, সম্ভবত এতোগুলো মুরগীর আক্রমণে শিয়ালটি ভয় পেয়ে গিয়েছিল।