প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে বিএনপি অংশ না নেওয়ায় ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম ছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন। তবে প্রথম ধাপের নির্বাচন মোটামুটি সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বুধবার সকাল ১১টায় সিলেটের জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অথিতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, এবার ১৮ মার্চ দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনও সুষ্ঠু করে তোলতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সকল সদস্য ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। কোন অবস্থাতেই নির্বাচনে সহিংসতা বরদাশত করা হবে না।
তিনি জানান, আগামী ৪র্থ ও ৫ম ধাপের নির্বাচনে ১০টি উপজেলার সকল কেন্দ্রে ইভিএম এ ভোট গ্রহণ অনুষ্টিত হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা আরো বলেন, প্রশাসনের আন্তরিকতার ফলে ভোট উৎসব সুষ্ঠু হয়ে থাকে। প্রত্যেক ভোটার যেনো বিনা বাধায় তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে এমন পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। ভোট কেন্দ্রে যেনো কোন ভোটারকে বাধা প্রধান না করা হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। ভোট গ্রহণ শেষে প্রত্যেক প্রার্থীর একজন করে এজেন্টের উপস্থিতিতে ভোটগণনা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তার স্বাক্ষর নিতে হবে। জাল ভোট প্রদান ও বিশৃংখলা রুখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের একযোগে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় সিলেটের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা।