ময়নাঘোনা ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের প্রাণঝুঁকিতে রয়েছে একটি সুবিশাল গাছ। বালুখালী টু, ক্যাম্প নং ১১ কক্সবাজার-টেকনাফ আরাকান সড়ক-সংলগ্ন ময়নাঘোনা এলাকায় দুই শ’ বছরের পুরনো গর্জন গাছটি এখন রোহিঙ্গাদের প্রাণনাশের আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পাহাড়ের উঁচুতে প্রায় দুই শ’ ফুট লম্বা গর্জন গাছটির নিচের অংশের মাটি সরে যাওয়ায় যেকোনো মুহূর্তে ধসে পড়ে ঘটাতে পারে ব্যাপক প্রাণহানি। বালুখালী-টু ক্যাম্প এগারোর হেড মাঝি ( রোহিঙ্গাদের প্রধান নেতা ) ওসমান বলেন, আমরা বলে আসছি জীবন ও সম্পদ রক্ষায় যথাযথ নিয়মে কর্তৃপক্ষ গাছটি কাটার ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
রোহিঙ্গা জিয়াবুর রহমান ও শফিক বলেন, এই পাহাড়ের মধ্যে শুধুমাত্র একটি গাছ রয়েছে যা বিশাল। এই গাছের নিচে ছোট ছোট দোকান ও রোহিঙ্গাদের সেবায় এনজিওদের একটি হাসপাতাল রয়েছে। এই গাছ ধসে পড়লে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটবে।
জাহেদ হোসেন ও মোহাম্মদ নুর নামের দুই রোহিঙ্গা তরুণ বলেন, আরাকান সড়ক দিয়ে টেকনাফ যাওয়ার পথে এই বিশার পাহাড়ের ওপর একটি মাত্র গর্জন গাছটি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ক্যাম্প ১১-এর বালুখালী টুতে প্রবেশ মুখে একমাত্র চলাচলের রাস্তার পাশঘেষা এই গাছটি আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই কর্তনের ব্যবস্থা করা না হলে চলাচলরত রোহিঙ্গাদের মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। তাই আমরা সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি জানায় যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে গাছটি কাটার ব্যবস্থা করা হয়।
স্থানীয়দের সাথে কথা হলে তারা জানান, প্রায় দুই শ’ বছর পুরনো একটি গর্জন গাছ এই পাহাড়ের স্মৃতি চিহ্ন হয়ে আছে। রোহিঙ্গাদের কারণে সকল প্রকার পাহাড় ন্যাড়া হয়ে থাকলেও পাহাড় ও গাছটি ধসে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটলে রোহিঙ্গাদের প্রাণহানি ঘটবে তা নিশ্চিত। আমরা তাদের বারবার সতর্ক করে দিচ্ছি।
বন সংরক্ষণের দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মানুষকে সচেতন হতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সরে যেতে আমরা প্রতি বছর মাইকিং করে সতর্ক করে থাকি।