বিধিবহির্ভূতভাবে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ আবেদন করা হয়।
আজ বুধবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনটির ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
বিইআরসি সূত্র জানায়, সব শ্রেণির গ্যাসের দাম গড়ে ৬৬ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বিতরণ কোম্পানিগুলো। গৃহস্থালীতে ব্যবহূত দুই চুলার গ্যাসের বিদ্যমান দাম ৮৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা নির্ধারণ করতে চায় তারা। সিএনজির দাম বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি হতে পারে।
ইতোমধ্যেই গ্যাসের দাম পুনর্নির্ধারণের লক্ষ্যে গণশুনানি শুরু হয়েছে। গ্যাসের দাম বৃদ্ধিতে পেট্রোবাংলা, জিটিসিএল এবং বিতরণকারী কোম্পানিগুলোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ গণশুনানি আয়োজন করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের ওপর সর্বশেষ গত বছরের মে মাসে শুনানি গ্রহণ করেছিল বিইআরসি। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে বর্ধিত মূল্যহার অনুযায়ী গ্যাসের দাম পরিশোধ করতে হবে বলে জানিয়েছিলেন সংশ্লিষ্টরা। তবে নির্বাচনের বছরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় তখন বর্ধিত মূল্যহার ঘোষণা স্থগিত রেখেছিল বিইআরসি।
বিইআরসি সূত্র জানায়, নতুন প্রস্তাবে বাসা-বাড়িতে দুই বার্নার চুলার গ্যাসের দাম ৮৫০ থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ২০০ টাকা এবং এক বার্নারের দাম ৭৫০ থেকে বৃদ্ধি করে এক হাজার টাকার কথা বলা হয়েছে। আবেদন গৃহীত হলে আবাসিক ছাড়াও দাম বাড়বে বিদ্যুকেন্দ্র, ক্যাপটিভ পাওয়ার, সিএনজি, শিল্প ও সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের।
সর্বশেষ ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে গ্যাসের দাম গড়ে ২২ দশমিক ৭০ শতাংশ বাড়ানো হয়। সে বছরের মার্চ ও জুলাই থেকে দুই ধাপে তা কার্যকর করার কথা ছিল। আদালতের রায়ের কারণে প্রথম ধাপের দামবৃদ্ধি কার্যকর হলেও দ্বিতীয় ধাপ কার্যকর হয়নি।