নির্বাচন কমিশনার মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেছেন, অনেক জায়গাতে মানুষের ভেতরে একটা ভীতি কাজ করছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এর জন্য আমরাও কিন্তু পরোক্ষভাবে দায়ী। বুধবার আগারগাঁওয়ের ইটিআই ভবনে উপজেলা নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে নির্বাচন কমিশনার মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, এই যে, অনেক জায়গাতে মানুষের ভেতরে একটা ভীতি কাজ করছে। আসলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমরাও(নির্বাচন কমিশনও) কিন্তু পরোক্ষভাবে দায়ী। আমরা এমন সব কাজ করেছি যেগুলো ঠিক না।
তিনি আরো বলেন,‘অনেক সময় অত্যন্ত ছোট একটা ভুলও যদি আপনারা করেন। সেটাকে কিন্তু ভুল হিসেবে মানবে না মানুষ। ওই সিচুয়েশনে কাউকে জিতিয়ে দেয়ার জন্য আমাদের ইচ্ছাটাকে ইমপ্লিমেন্ট করা হয়েছে এটা বলবে এবং এটা মেনে নিতে হবে। এসব বিষয় মাথায় রেখে সচেতনতার সঙ্গে আপনাদের কাজ করতে হবে।’
ইসি মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন,‘ইভিএম মেশিন শুধু যারা ভোটগ্রহণ করবেন তারাই ব্যবহার করবেন না। যারা ভোট দেবেন তারাও ব্যবহার করবেন। তাই ভোটারদেরও প্রশিক্ষিত করতে হবে, কীভাবে ভোট দিতে হয়। একই সঙ্গে তাদের সচেতন করতে হবে। একজন প্রশিক্ষককে সব ধরণের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। যাতে সে ভালোভাবে প্রশিক্ষণ দিতে পারে।’
তিনি আরো বলেন,‘মনে রাখবেন, আইনকে কোনো সময় টেকনোলজির (প্রযুক্তির) কাছে স্যারেন্ডার করাবেন না। টেকনোলজি ইজ টেকনোলজি, রুল ইজ রুল। টেকনোলজিকে রুলের উপরে স্থান দেয়ার কোনো মানে হয় না। আইনে আছে কেন্দ্রভিত্তিক রেজাল্ট ঘোষণা দিয়ে আমরা একটি ফর্মে টাঙিয়ে দেব। আপনারা যদি কেন্দ্রে না করে কক্ষ থেকে রেজাল্ট দিয়ে দেন। আপনারা বলতে পারেন, কক্ষে করলাম তাতে এমন কী হয়েছে। কক্ষে করলাম, তারপর সবকক্ষ মিলিয়ে কেন্দ্রেরটা করে দিলাম। কেন এটি একটি অত্যন্ত গর্হিত অপরাধ জানেন? একটা কক্ষে সর্বোচ্চ ৫০০ ভোটার থাকে। ওই কক্ষের রেজাল্ট যদি দেন এবং দেখা যায় যে, কোনো একটা প্রতীকে বা লোকের পক্ষে সব ভোট চলে গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওই লোকটা পাস করতে পারেন নাই। ওই সামান্য কয়েকটা ভোটারের কি অবস্থা হবে জানেন? এসব ক্ষেত্রে ডিসি, এসপি থেকে শুরু করে ডিআইজি সবাই এসেও কিন্তু পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে না।’