বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল ওয়েলিংটন টেস্টের প্রথম দুইটি দিন। তারপরও তিরদিন পুরোটা সময় খেতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রায় আড়াই দিনেই ওয়েলিংটন টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে টাইগাররা। ব্যাটে বলে কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেনি সফরকারী ব্যাটসম্যানরা। উল্টো নিউজিল্যান্ডের এক নেইল ওয়াগনারের শর্ট বলে ধরাশায়ী হয়েছে দুই ইনিংসে। দুটি টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হারায় অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতাকে।
দ্বিতীয় টেস্টে ইনিংস ও ১২ রানে পরাজিত হওয়ার পর মাহমুদউল্লাহ বলেন,‘আমার মনে হয় ব্যাটসম্যানদেরই দায়টা নেয়া উচিত। কারণ আমরা প্রায় আড়াই দিনে দুই ইনিংসে গুটিয়ে গেছি।’
ম্যাচ শেষে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতাকেই বারবার তুলে আনলেন মাহমুদউল্লাহ। তিনি কবলেন,‘ব্যাটসম্যানরা দ্বিধা-দ্বন্দ্বে থাকার কারণেই এই পরিণতি হয়েছে। আসলে দুই ধরনের মানসিকতা থাকায় এই অবস্থা দাঁড়িয়েছে। প্রথম ইনিংসে তামিম ও সাদমান আমাদের ভালো শুরু এনে দিয়েছিলো। এমনকি ওয়াগনার বাউন্সার নিয়ে আক্রমণ করলেও তাকে সামাল দিয়ে খেলেছি। কিন্তু আমরা পরে নিজেরাই আউট হয়ে তাদের সুযোগ করে দিয়েছি।’
মাহমুদউল্লাহ আরো বলেন,‘আমাদের আরও লম্বা সময় নিয়ে উইকেটে থাকার করার দরকার ছিল। ব্যাটসম্যানরা দায়িত্ব না নিয়ে দায়সারা ভাবে শট খেলেছে। আমরা হয়তো মনোযোগী ছিলাম না। শট খেলবো নাকি খেলবো না তা নিয়ে ব্যাটসমানদের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল বলে আমার মনে হয়।’
চতুর্থ দিনে কিউই ব্যাটসম্যান রস টেলরের দুটি ক্যাচ মিস করার বিষয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেন, এই সুযোগগুলো নিতে পারলে বোলারদের আত্মবিশ্বাস আরো বেড়ে যেত।
তিনি বলেন, আমরা সুযোগ নিতে পারলে মোমেন্টাম ভালো অবস্থায় দাঁড়িয়ে যেত। বোলারদের পক্ষে চলে আসতো। তাহলে আরও কিছু উইকেট পড়তো।
প্রথম দুই টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে পরাজয়। দ্বিতীয় টেস্টে তো রীতিমতো আড়াই দিনেই পরাজয়। এই অবস্থা থেকে সামনে দলের লক্ষ্য কি? এমন প্রশ্নে জবাবে ভালো বোলিংয়ের দিকেই মনোযোগ দিতে চান মাহমুদউল্লাহ। তিনি বলেন,‘আবু জায়েদ, মোস্তাফিজ ও তাইজুল ভালো বল করলেও গড়ে ওভার প্রতি ৫ রান করে দিয়েছে। তাই আমাদের শেষ ম্যাচে ভালো বোলিং করার প্রতি মনোযোগ দিতে হবে।’