বিভিন্ন দেশ থেকে অস্ত্র আমদানি নিয়ে প্রতিযোগিতায় মেতেছে সৌদি আরব ও ভারত। এই দুই দেশই অস্্রত আমদানিকারক দেশগুলোর তালিকার শীর্ষে রয়েছে। প্রথম স্থানে আছে সৌদি আরব। আর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। ২০১৪ থেকে ২০১৮ মধ্যে বিশ্বে মোট অস্ত্র লেনদেনের সাড়ে নয় শতাংশই করেছে ভারত। ১২ শতাংশ অস্ত্র আমাদানি করে এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরব। স্টকহলম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট বা সিপ্রি সোমবার প্রকাশ করেছে ২০১৪ থেকে ২০১৮ মধ্যে বিভিন্ন দেশের অস্ত্র আমদানি-রফতানির তালিকা। সেখানেই উঠে এসেছে ভারতের নাম।
অস্ত্র আমদানিতে দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও ২০০৯ থেকে ২০১৩ সালের তুলনায় ২৪ শতাংশ কম অস্ত্র আমদানি করেছে ভারত। এর প্রধান কারণ বিভিন্ন দেশকে অর্ডার দেয়া অস্ত্র সময়ে পৌঁছয়নি ভারতে। ২০০১ সালে রাশিয়াকে অর্ডার দেয়া কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট ও ২০০৮ সালে ফ্রান্সকে অর্ডার দেয়া সাবমেরিন পৌঁছতে দেরি হওয়াতেই শতাংশের হিসাবে অস্ত্র আমদানি কমেছে ভারতের।
সিপ্রির দেয়া রিপোর্ট অনুসারে, ২০১৪-১৮-র মধ্যে ভারত সবচেয়ে বেশি অস্ত্র কিনেছে রাশিয়ার থেকে। মোট আমদানি করা অস্ত্রের ৫৮ শতাংশই কেনা হয়েছে রাশিয়ার থেকে। এই সময়ে আমেরিকা, ফ্রান্স ও ইসরাইলের থেকেও অস্ত্র আমদানি বাড়িয়েছে ভারত।
সৌদি আরব ও ভারতের পর অস্ত্র আমদানির তালিকায় তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে মিসর, অস্ট্রেলিয়া ও আলজেরিয়া। ৪.২ শতাংশ অস্ত্র আমদানি করে চিনের স্থান ষষ্ঠ। তবে অস্ত্র আমদানির ব্যাপারে ভারতের থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে পাকিস্তান। বিশ্বের মোট অস্ত্র আমদানির ২.৭ শতাংশ করে আমদানি তালিকায় ১১ নম্বরে নাম রয়েছে পাকিস্তানের। তবে আমদানি করা অস্ত্রের ৭০ শতাংশই তারা কিনেছে চীনের কাছ থেকে।
সারা বিশ্বজুড়ে বেড়েছে অস্ত্র লেনদেনের ব্যবসা। সিপ্রি-র রিপোর্ট বলছে, ২০০৯-১৩ সময়কালের তুলনায় ৭.৮ শতাংশ বেড়েছে অস্ত্র লেনদেনের ব্যবসা। অস্ত্র রফতানির ক্ষেত্রে প্রথম সারিতে রয়েছে রয়েছে আমেরিকা, রাশিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি ও চীন। বিশ্বে মোট অস্ত্র রফতানির ৭৫ শতাংশই করেছে এই পাঁচটি দেশ।