সদ্য নির্বাচিত ভিপি নুরুল হকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

২৮ বছর পর অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভিপি নির্বাচিত হওয়া নুরুল হক নুরসহ নির্বাচনে ভিপি পদপ্রার্থী লিটন নন্দীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন চলাকালে রোকেয়া হলের প্রভোস্ট ড. জিনাত হুদাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে ভিপি প্রার্থী ও ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি লিটন নন্দী, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা ও সদ্য নির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নুরুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

সোমবার রাতে ঢাবির নৃত্যকলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মারজুকা রায়না বাদি হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান এ তথ্য জানান।

ওসি আবুল হাসান বলেন, ঢাবির এক শিক্ষার্থী রোকেয়া হলের প্রভোস্টকে লাঞ্চিত করার একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সেটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছি।

মামলায় লিটন ও নুরুল ছাড়াও জিএস প্রার্থী ঢাবির জহুরুল হক হল ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক খন্দকার আনিসুর রহমান, জিএস প্রার্থী ছাত্র ফেডারেশনের ঢাবি শাখার সভাপতি উম্মে হাবীবা বেনজীর ও রোকেয়া হল সংসদের স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী শেখ মৌসুমীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরো ৩০-৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, সোমবার সকাল ১১টা ২০ মিনিটের দিকে মামলার বাদী মারজুকা রায়না রোকেয়া হলে ভোটের লাইনে দাঁড়ান। এর মধ্যে হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বানচাল করার চেষ্টা চালান অভিযুক্তরা। তারা গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে ‘গুজব ছড়িয়ে’ দেন যে, ট্রাংকভর্তি সিল মারা ব্যালট পেপার হলের ভেতরে রয়েছে। পাশাপাশি তারা শিক্ষার্থীদের ‘বিভ্রান্ত করে উসকে’ দেন।

এ পর্যায়ে হল প্রভোস্ট ড. জিনাত হুদা শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, বাস্তবে তেমন কিছুই ঘটেনি। সংরক্ষিত ব্যালট পেপারগুলো সাদা। কিন্তু অভিযুক্তরা প্রভোস্টের কথা না শুনে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং শিক্ষার্থীদের গালাগাল করেন। এ সময় তারা রোকেয়া হল সংসদের দরজা-জানালা লাথি মেরে ভেঙে ফেলার চেষ্টা চালান। পরে তারা সংসদের ভেতর অনধিকার প্রবেশ করে একটি ট্রাঙ্ক বের করে আনেন। সেটি খুলে দেখা যায়, সব ব্যালট পেপারই সাদা। কোনোটিতে সিল মারা নেই।

এদিকে সোমবার নির্বাচনের দিন ঘটনাস্থল রোকেয়া হলে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা বলছেন, ছাত্রলীগের নারী কর্মীরাই নুরুল হকের ওপর হামলা করেন। এ সময় তাঁকে মাটিতে ফেলে আঘাত করা হয়। হামলা ও মারধরে অজাঞান হয়ে পড়েন নুরুল হক। হামলার পর নুরুল হককে উদ্ধার করে বাইরে নিয়ে আসা হয়। পরে গণমাধ্যমের একটি গাড়িতে করে বেসরকারি একটি হাসপাতালে পাঠানো হয় তাকে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top