রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সোমবার চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আল্লামা আহমদ শফী সাহেবের আধ্যাত্মিক সম্পর্ক। জাতীয় সংসদে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের কওমি শিক্ষা ও হেফাজত আমির শাহ আহমদ শফীর বিরোধী বক্তব্যে আহত হয়েছি।
তিনি বলেন, আমিও কওমি সন্তান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছি। কিন্তু কওমি সন্তান। সংসদে আইন পাস হয়েছে। সর্বসম্মতভাবে এই আইন পাস হয়েছে। এরপরও এটা নিয়ে নিয়ে কথা বলা কাম্য নয়।
আওয়ামী লীগের এ সংসদ সদস্য নদভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেকোনো বিষয়ে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি ছাড়া সিদ্ধান্ত নেন না। তিনি ৯ বছর কওমি শিক্ষা নিয়ে স্ট্যাডি করে এই আইন পাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এরপরও এ বিষয়ে কথা বলা কোনোভাবে কাম্য নয়।
কওমি শিক্ষার স্বীকৃতি দিয়ে, এই আইন পাস করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করেছেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সংসদে জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ বিল উত্থাপন
জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদকে আইনী কাঠামোয় আনতে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ বিল-২০১৯’ উত্থাপন করা হয়েছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বিলটি উত্থাপনের পর তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
সোমবার ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করা হয়। এরপর বিলটি উত্থাপনকালে মন্ত্রী নরুজ্জামান আহমেদ জানান, বিদ্যমান সমাজকল্যাণ রেজুলিউশেন রহিত করে এ সংক্রান্ত আনুসাঙ্গিক নতুন আইন প্রণয়নের জন্য ওই বিলটি আনা হয়েছে।
বিলের বিধানে বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ঢাকায় পরিষদের প্রধান কার্যালয় ও প্রয়োজনে দেশের যে কোনো স্থানে শাখা কার্যালয় স্থাপনের বিধানের প্রস্তাব করা হয়।
বিলে পরিষদের কার্যাবলী, পরিষদ পরিচালনা, সমাজকল্যণ মন্ত্রীকে সভাপতি করে ৮৪ সদস্যের পরিচালনা বোর্ড গঠন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চেয়ারম্যান করে ১৯ সদস্যের নির্বাহী কমিটি গঠন, নির্বাহী কমিটির সভা, কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলী, নির্বাহী সচিব নিয়োগ এবং তার দায়িত্ব ও কর্তব্য, কর্মচারী নিয়োগ, কমিটি গঠন, তহবিল, বাজেট, হিসাব রক্ষণ ও নিরীক্ষা, প্রতিবেদন পেশ, বিধি-প্রবিধি প্রণয়নের ক্ষমতাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধানের প্রস্তাব করা হয়।