প্রেমের জন্য নেয়া বশীকরণ তাবিজে কাজ না হওয়ায় গোয়ালন্দে কবিরাজকে কুপিয়ে জখম করেছে পলাশ নামের এক কিশোর। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট সংলগ্ন নতুন পাড়া এলাকায় পলাশ (১৬) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্র এলাকার লোকমান সরদার ওরফে লোকমান সাধু (৬০) নামের এক ফকিরকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পলাশ ওই গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। সে স্থানীয় মাদ্রাসাতু সাবি-ইল-হাসান থেকে এ বছর দাখিল পরীক্ষা দিয়েছে। গত শনিবার ভোররাত ৩টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পলাশ ওই এলাকার একটি মেয়েকে খুব পছন্দ করে। সে বেশ কিছুদিন ধরে মেয়েটির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। কিন্তু ব্যার্থ হয়ে শরনাপন্ন হয় এলাকার লোকমান সাধু কাছে। লোকমান সাধু পেশায় একজন জেলে। পাশাপাশি তিনি এলাকায় কবিরাজি চিকিৎসক হিসেবে লোকজনকে বিভিন্ন অসুখে ঝাঁড়-ফুঁক, পানি পড়া ও তাবিজ-কবজ দিয়ে থাকেন।
পলাশ কিছুদিন আগে তার কাছে গিয়ে ওই মেয়েটিকে তার প্রেমে বশ করার জন্য তাবিজ চায় এবং কিছু টাকাও দেয়। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় গত শুক্রবার বিকেলের দিকে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। ওইদিন রাতে লোকমান সাধু লঞ্চঘাট এলাকায় রাখা তার নৌকায় একাকি ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সুযোগে শনিবার ভোর ৩টার দিকে লোকমান সাধু উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে পলাশ। হামলায় তার গলার খানিকটা অংশ কেটে যায়।
এ সময় তার চিৎকারে আশ-পাশের নৌকা থেকে জেলেরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে সেখান থেকে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এ ঘটনার পর থেকে পলাশ ও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা পলাতক রয়েছে। তার পরিবারের কাউকেও পাওয়া না যাওয়ায় তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. তাপস কুমার বলেন, লোকমান সরদারকে গোয়ালন্দ হাসপাতালে আনা হয়েছিল। কিন্তু তার গলার সামনের অংশ ও হাতে ধারালো অস্ত্রের গভীর ক্ষত সৃষ্টি হওয়ায় জরুরী ভিত্তিতে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি এজাজ শফি বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। তবে বিষয়টি শুনেছি। থানায় কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।