সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির (সুপ্রিমকোর্ট বার) ২০১৯-২০ মেয়াদের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হবে আগামী বুধবার। পরদিন বৃহস্পতিবার তা শেষ হবে। এতে ১৪ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সুপ্রিমকোর্ট বারের সুপারিনটেনডেন্ট (তত্ত্বাবধায়ক) নিমেষ চন্দ্র দাস এ তথ্য জানান।
নির্বাচনে সাদা প্যানেল থেকে সভাপতি পদে সমিতির সাবেক সম্পাদক আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন ও সম্পাদক পদে বাংলাদেশ আইন সমিতির সাবেক সম্পাদক আইনজীবী আবদুন নুর দুলালের নেতৃত্বে ১৪ জনের একটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। অপরদিকে নীল প্যানেলে বারের সাবেক সভাপতি ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী এবং সম্পাদক পদে টানা ৬ বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহাবুব উদ্দিন খোকনের নেতৃত্বে ১৪ জনের একটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
নিমেষ চন্দ্র দাস বলেন, সুপ্রিমকোর্ট বার নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এ.ওয়াই. মশিউজ্জামান। তার নেতৃত্বে একটি সাব কমিটি দায়িত্ব পালন করছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমার দিন ধার্য ছিল। মনোনয়ন প্রত্যাহার প্রক্রিয়া শেষে এখন চূড়ান্তভাবে ৩৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। আগামী ১৩ মার্চ ও পরদিন ১৪ মার্চ সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হবে। মাঝে ১ ঘণ্টা বিরতি দেয়া হবে। বৃহস্পতিবার ভোট গণনা শেষে ফল ঘোষণা করা হবে।
নিমেষ চন্দ্র দাস আরো বলেন, এখন ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। সুপ্রিমকোর্ট বারের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে বুথ তৈরির কাজ চলছে। নিমেষ চন্দ্র দাস বলেন, মঙ্গলবারের মধ্যেই ভোটগ্রহণের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে।
প্রতি বছর সুপ্রিমকোর্ট বার এর কার্যনির্বাহী কমিটির ১৪টি পদে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ৭টি সম্পাদকীয় ও ৭টি নির্বাহী সদস্যের পদ রয়েছে।
উল্লেখ্য, বিগত বছরগুলোর নির্বাচনে দেখা গেছে এখানে প্যানেল ভিত্তিক নির্বাচন হয়ে থাকে। একটি সাদা প্যানেল, অপরটি নীল প্যানেল। এছাড়াও বিভিন্ন পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীও রয়েছেন।
তবে সংগঠনের পক্ষ থেকে আলাদা আলাদা প্যানেল দেয়া হলেও সুপ্রিমকোর্ট বার-এলাকায় প্রার্থীদের একই ধরণের প্রচার পত্র ও কার্ড দিয়ে প্রচারণা চালাতে আচরণবিধি রয়েছে। সে অনুযায়ীই প্রার্থীরা প্রচারণা চালাচ্ছেন। গতবছরও এভাবে প্রচারণা চালাতে হয়েছে।