বুড়িগঙ্গায় যাত্রীবাহী ট্রলারডুবি : উদ্ধার তৎপরতা শুরু

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় উদ্ধার কাজ শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস। আজ সোমবার সকাল থেকে এ উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়। রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে ট্রলারটি ডুবে যায়।

তবে এ ঘটনায় কতজন নিখোঁজ রয়েছেন এখনো তা কেউ সঠিকভাবে বলতে পারছে না।

সোমবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন উদ্ধার কাজে নদীতে নামেন।

এদিকে ট্রলার ডুবে নিখোঁজদের সন্ধানে বুড়িগঙ্গার তীরে ভিড় করছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।

৫০ জনের মতো যাত্রী নিয়ে ওই ট্রলারটি ডুবে যায়, যাদের অধিকাংশই শ্রমিক।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, ট্রলার ও নিখোঁজদের সন্ধানে ফায়ার সার্ভিস কাজ শুরু করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের নিয়ে ডুবে যাওয়া ট্রলারটির অবস্থান শনাক্ত করে উদ্ধার কাজ শুরু করা হবে।

তিনি আরো বলেন, ডুবে যাওয়া ট্রলারে থাকা বালু ও কয়লা টানা লেবার সরদার বশিরের দেয়া তথ্যমতে শুধুমাত্র একজন নিখোঁজ রয়েছেন। ট্রলার ডুবে যাওয়ার পর সকল লেবাররা সাঁতরিয়ে তীরে উঠতে সক্ষম হয়েছে। তবে ট্রলারে লেবার ছাড়াও সাধারণ যাত্রী ছিলো কিনা সে তথ্য নেয়া হচ্ছে। নিখোঁজদের স্বজনরা ঘটনাস্থলে এলে সঠিক তথ্য জানা যাবে।

উল্লেখ্য, রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কেরানীগঞ্জের জাজিরার কুইচ্ছামারা এলাকায় বালু টানা কাজ শেষ করে ট্রলারযোগে নারীসহ প্রায় ৫০ জন লেবার ফতুল্লার পাগলায় যাওয়ার পথে ঢাকা থেকে আসা ‘তাকওয়া পরিবহন’ নামে একটি খালি বাল্কহেড ওই ট্রলারের ওপর উঠে যায়। এতে ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় ট্রলারে থাকা কিছু যাত্রী লাফিয়ে বাল্কহেডে ওঠেন এবং কিছু লোক সাঁতরিয়ে তীরে ওঠেন। তবে কিছু লোক এখনো নিখোঁজ রয়েছে।

তবে ট্রলারে থাকা ৫০ জন শ্রমিকের মধ্যে ৪০ জনের মতো উদ্ধার হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছে।

এছাড়া খালি বাল্কহেডটি এলাকাবাসী ও ফতুল্লা থানা পুলিশের সহযোগিতায় আটক করা হয়। এ সময় বাল্কহেডে থাকা দিদার হোসেন (৪৮) ও আবু বক্করকে (৩৮) আটক করা হয়।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top