প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য নিয়ে বিতর্কের কোনো যৌক্তিকতা নেই মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নির্বাচনী অনিয়মের অভিযোগ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য ইভিএম পদ্ধতির ব্যবহার যৌক্তিক বলে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। তার বক্তব্যের একটা খন্ডিত অংশ নিয়ে অহেতুক বিতর্ক করার কোনো যৌক্তিকতা নেই। সেটা নিয়ে বিভ্রান্তিরও কোনো কারণ নেই।
রোববার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুনুর রশীদ, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, কার্যনির্বাহী সদস্য এসএম কামাল হোসেন।
রাতে ব্যালট পেপারে সিল মেরে ভোটের বাক্স ভরা নিয়ে সিইসির বক্তব্য নিয়ে হানিফ বলেন, এ দেশে প্রতিটি নির্বাচনের পরই পরাজিত দল এবং পরাজিত প্রার্থীরা নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ করেন। ইভিএম পদ্ধতি যদি ব্যবহার করা যায় তাহলে কিন্তু ব্যালটের সংশ্লিষ্টতা থাকে না। ব্যালট নিয়ে প্রার্থী বা দলের যে অভিযোগ তার যৌক্তিকতা থাকে না। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হয়তো এসব অভিযোগ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্যই ইভিএম পদ্ধতির ব্যবহার যৌক্তিক বলে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
কিছু উপজেলায় স্থানীয় এমপিদের নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের কারণে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা-জানতে চাইলে হানিফ বলেন, এমপিরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করে স্থানীয় নির্বাচনের সময় এলাকায় উপস্থিত থাকার কারণেই কিন্তু ইসি সেখানে নির্বাচন স্থগিত করেছে। এর মধ্য দিয়ে ইসি আবারও প্রমাণ করেছে যে, তারা অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য তারা বদ্ধপরিকর। যেসব এমপি আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন, এটার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আমরা সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেব।
প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে হানিফ বলেন, সব মিলিয়ে ভোটের পরিবেশ, পরিস্থিতি অত্যন্ত ভালো। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার তথ্য পাওয়া যায়নি।
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, নির্বাচনে জয়-পরাজয় আছেই। পরাজিত হলেই অভিযোগ করে নির্বাচন থেকে দূরে থাকা কোনো রাজনৈতিক দলের শুভ বুদ্ধির পরিচয় বহন করে না।
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দ্রুত সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে আসবেন এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে হানিফ।
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিএসএমএমইউতে চিকিৎসা নিতে অনীহা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, উনি যদি নিজেকে সেই পরিমাণ অসুস্থ বোধ না করেন, তাহলে তো চিকিৎসা নিতে অনীহা প্রকাশ করবেনই। আমি যদি সুস্থ থাকি, আমাকে কেউ জোর করে চিকিৎসা দিতে চাইলে আমি কি নেব? আমি হয়তো অনীহাই প্রকাশ করব। উনি হয়ত নিজেকে সুস্থ মনে করছেন বা যে কোনো কারণে মনে করছেন, এই মুহুর্তে তার চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। সে কারণে অনীহা প্রকাশ করতে পারেন।