রাজধানীর সোহরাওয়াদী হাসপাতালে হিজড়াদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (৯ মার্চ) রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে জড়িত দুই গ্রুপই সংবাদমাধ্যমকে এর সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং হিজড়ারা জানান, শনিবার শেরে-ই-বাংলা নগর এলাকার সোনালী গ্রুপ চাঁদা আদায় করতে যায়। এ সময় ২০-২৫ টি পর্দা নিয়ে পালানোর সময় সোনালীকে আটক করে জনগণ। পরে স্থানীয়রা মিরপুর গ্রুপের রাখি সর্দারকে ফোন করলে তাকে নিয়ে মিরপুর মডেল থানায় যায় রাখি। থানার সামনে রাখি ও সোনালী গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়। এতে আহত দুই পক্ষের লোক সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসলে হাসপাতালের নিচতলায় দু গ্রুপের মধ্যে আবারও ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় গ্রুপের ২০ জন আহত হয়।
খবর পেয়ে শের-ই-বাংলা নগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে সোনালী গ্রুপের লোকজনকে চিকিৎসা দেয়ার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। আর রাখি গ্রুপের লোকজন সোহরাওয়াদী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সংবাদমাধ্যমকে রাখি হিজড়া বলেন, আমরা ডিআইজি হাবিবুর রহমানের তত্ত্বাবধানে উত্তরণ ফাউন্ডেশনে কাজ করি। সোনালী গ্রুপের লোকজন আমার এলাকায় এসে জানালার পর্দা নিয়ে পালানোর সময় জনগণ তাদের আটক করে। আমাকে খবর দিলে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে সোনালীকে নিয়ে থানায় যাই। খবর পেয়ে সোনালী গ্রুপের লোকজন আমার গ্রুপের লোকজনের উপর হামলা চালায়।
পরে আমরা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসি। সেখানে রড নিয়ে সোনালী হিজড়ার ৪০-৫০ জন আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালায়।
অপরদিকে সোনালী গ্রুপের পলাশী হিজড়া বলেন, আমাদের সরদার সোনালীকে রাখি হিজড়া কিডন্যাপ করে। পরে আমরা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করি। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখানে তারা আমাদের উপর হামলা চালায়।