পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ৭৮টি উপজেলার মধ্যে নীলফামারী জেলার সব কয়টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে এ ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
কিন্তু সকাল ১১টা পর্যন্ত সৈয়দপুর উপজেলার ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। বিশেষ করে সৈয়দপুর পৌর এলাকার ভোট কেন্দ্রগুলো একেবারেই ভোটারশূন্য। কোনো কোনো কেন্দ্রে এসময় পর্যন্ত একটিও ভোট পড়েনি।
আবার কোথাও কোথাও দু’একজন ভোটার ভোট দিলেও ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের আগমনের কোনো উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়নি। সবখানেই শুধুমাত্র প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থক ও উৎসুক শিশু-কিশোরদের আনাগোনা চোখে পড়েছে।
ভোটারশূন্য কেন্দ্রগুলোতে দায়িত্বরত আনসার ও পুলিশ সদস্যরাসহ প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার ও অন্যান্যরা বসে বসে অলস সময় কাটাচ্ছেন। তাদের কোনো ব্যস্ততা নেই বললেই চলে।
সৈয়দপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র সৈয়দপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (বাংলা হাইস্কুল) চত্বরে গিয়ে দেখা যায় পুরো মাঠ ফাঁকা। উপজেলার ১৩ নং এই ভোটকেন্দ্রে একজন ভোটারকেও দেখতে পাওয়া যায়নি। এখানকার ৩১১৯ জন ভোটারের মধ্যে দীর্ঘ আধা ঘন্টা অপেক্ষার পরও কোনো ভোটারের আগমন ঘটেনি ভোট দেয়ার জন্য। এমনকি সাধারণ মানুষেরাও কেমন ভোট হচ্ছে তা জানার জন্য ভোট কেন্দ্রের বাইরেও কোনো রকম ভিড় করছেন না।
একই অবস্থা বিরাজ করছে অন্য কেন্দ্রগুলোতেও। পৌর এলাকায় মূলত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উৎসব আমেজ বিরাজ করে। কিন্তু এবারের ভোটে তার উল্টো চিত্র দেখা গেছে। যা অনেককেই অবাক করেছে।
ভোটকেন্দ্রের বাইরে অবস্থানরত এক প্রার্থীর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মী জানান, এমন ভোট আগে কখনো দেখিনি। ইতিপূর্বের ভোটগুলোতে শহরের ভোটাররা সকাল সকাল ভোট দিতে আসতো। বিশেষ করে সকাল ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতো। কিন্তু এবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত এক-চতুর্থাংশ ভোট পড়বে কি না তা নিয়ে সংশয় আছে।
একই রকম মন্তব্য করেন উপস্থিত বয়স্ক কয়েকজন। তবে কয়েকজন ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, শহরের লোকজন ব্যস্ত থাকে তাদের কাজকর্ম নিয়ে। হয়তো অনেকেই ভেবেছেন সকালে গেলে ভিড় থাকবে। তাই বিকালে শেষ মূহূর্তে ভোট দিবেন, যখন ভিড় অনেকটা কমে যাবে। সে কারণে এখন ভোটারদের উপস্থিতি কম।