ভোটপ্রচারে সামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে। পুলওয়ামা নাশকতা, পাকিস্তানের বালাকোটে ভারতীয় বিমানবাহিনীর বোমাবর্ষণ এবং পাকিস্তানে আটক হওয়া ভারতীয় উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের নাম নির্বাচনী প্রচারে যথেচ্ছ ব্যবহার করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। অবিলম্বে এই প্রচার বন্ধে ব্যবস্থা নিতে দেশটির নির্বাচন কমিশনকে খোলা চিঠি লিখেছেন সাবেক নৌ বাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এল রামদাস।
তিনি বলেন, পুলওয়ামায় ভারতীয় বাহিনীর বহরে আত্মঘাতী হামলার পর থেকেই কাণ্ডের পর থেকেই অন্যান্য আর্থ-সামাজিক এবং রাজনৈতিক প্রসঙ্গকে পিছনে ফেলে, তা হয়ে দাড়িয়েছে দেশের রাজনৈতিক ময়দানের সব থেকে বড় ইস্যু। পুলওয়ামায় হামলা, বিমান বাহিনীর পাকিস্তানে হামলা, ক্যাপ্টেন অভিনন্দন থেকে রাফায়েল যুদ্ধবিমান, ভারতের নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচারের মঞ্চে তর্কাতীত ভাবে সামনে চলে এসেছে এই বিষয়গুলি। আর এই সংস্কৃতি বন্ধ করতেই নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে বললেন অ্যাডমিরাল এল রামদাস।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরাকে লেখা খোলা চিঠিতে এই অবসরপ্রাপ্ত অ্যাডমিরাল জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীর বীরত্বকে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার কাজে ব্যবহার করছে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। এই সংস্কৃতি দেশের সাংবিধানিক কাঠামোর পরিপন্থী।
দুই পাতার ওই চিঠিতে এল রামদাস লিখেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলি ইচ্ছেমত সেনা বাহিনীর ইউনিফর্ম, ছবি ব্যবহার করছে। বিভিন্ন পোস্টারে সেনাবাহিনীর সদস্যদের মুখের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের মুখ দেখা যাচ্ছে। দেশের একজন দায়িত্ববান নাগরিক এবং ভারতীয় সামরিক বাহিনীর এক জন প্রাক্তন সদস্য হিসেবে এই সব ঘটনায় আমি উদ্বিগ্ন এবং ক্ষুব্ধ।’
উদ্বেগ প্রকাশ করে রামদাস লিখেছে, সেনাবাহিনীর এই অপব্যবহার কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। এই সব ঘটনা সেনাবাহিনীর মানসিক কাঠামোয় প্রভাব ফেলতে পারে বলেও নিজের আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন তিনি। সেনাবাহিনীর বিভিন্ন সদস্যরাও তাকে এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন বলে চিঠিতে লিখেছেন তিনি। তার বক্তব্য, ‘কয়েক সপ্তাহ পরেই নির্বাচন। সেনাবাহিনীর বীরত্বকে ভোটপ্রচারে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে সেনাবাহিনীর এই অপব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থা নিতে আবেদন জানাচ্ছি। নির্বাচনী প্রচারে সেনা বাহিনীর ছবি বা নাম ব্যবহার করা যাবে না, এই মর্মে রাজনৈতিক দলগুলিকে অবিলম্বে চিঠি দেওয়া হোক।’