ডাকসুর প্রচারণা চালাতে গিয়ে ধাওয়া খেয়ে ক্যাম্পাস ছাড়ল জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির ছাত্র সংগঠন ছাত্র সমাজ। শনিবার দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ এলাকা থেকে প্রচারণা শুরু করে জাতীয় ছাত্র সমাজের প্যানেল।
এ সময় তারা মধুর কেন্টিন হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্যাডোতে পৌঁছলে পেছন থেকে ধাওয়া দেয় বাম সংগঠনগুলো।
জানা গেছে, দুপুরে ২০-২৫ জন নিয়ে মধুর ক্যান্টিনের সামনে দিয়ে প্রচারণা মিছিল নিয়ে যাচ্ছিল ছাত্র সমাজ। এসময় তারা এরশাদের নামে স্লোগান দেয়৷ তখন মধুর ক্যান্টিনে থাকা ছাত্র ইউনিয়নের সহসভাপতি তুহিন কান্তি দাসের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা হঠাৎ তাদের ধাওয়া দেয়। পরে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, জাসদ ছাত্রলীগ, ছাত্র মৈত্রীর কর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে যোগ দেয়।
ছাত্র সমাজের নেতাকর্মীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এসময় বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ইকবাল কবির, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি জিএম জিলানী শুভ, জাসদ ছাত্রলীগের সভাপতি শাজাহান আলী সাজু, ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স বক্তব্য দেন।
এ বিষয়ে ছাত্র সমাজ প্যানেলে জিএস প্রার্থী মামুন ফকির বলেন, ‘আমরা দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে প্রচারণা শুরু করি। মধুর ক্যান্টিন হয়ে শ্যাডোতে গেলে পেছন থেকে বাম সংগঠনগুলো লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে। এতে আমাদের ৫ জন আহত হয়েছে।’
কেন তাদের ধাওয়া দিলো? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তারা বলছেন- আমরা ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ। সেটা তো ১৯৯০ সালে একটা পরিবেশের প্রেক্ষিতে একটা মৌখিক নিষেধাজ্ঞা ছিল। এখন তো আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই আসছি। আর আমরা তো ৯৫ এর পরবর্তী প্রজন্ম, আমরা কেন ৯০’র সেই গ্লানি টানবো। এমন তো না যে আমরা সেই পরিবেশ ধারণ করছি। সো, আমাদের ওপর কেন এই হামলা? মূলত তারা ভোট চুরি করা ও আমাদের জনপ্রিয়তা ধ্বংসের জন্য এটা করেছে।’
এ বিষয়ে ছাত্র ইউনিয়নের সহসভাপতি তুহিন কান্তি দাস বলেন, ’৯০-এ এই ছাত্র সমাজকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ডাকসু নির্বাচন উপলক্ষে তো আমরা অতীত ভুলে যেতে পারি না। আদর্শ বিসর্জন দিতে পারি না।’
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তো তাদের নির্বাচন করার অধিকার দিয়েছে, আপনারা কেন প্রচারণা করতে দেবেন না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যেকোনো ছাত্র নির্বাচন করতে পারবে। সে হিসেবে তাদের নির্বাচন করতে দেয়া হয়েছে। তাদেরকে ছাত্র সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচনের অধিকার দেয়া হয়নি।’
এ বিষয়ে ডাকসুর প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক এসএম মাহফুজুর রহমানের মুঠোফোনে চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।