ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক হ্রাস করছে দক্ষিণ আফ্রিকা

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অব্যাহত আগ্রাসনের প্রতিবাদ এবং দুই রাষ্ট্র সমাধানের রাজি না হওয়ায় ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক কমিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশটির প্রেসিডেন্ট সাইরিল রামাফোসা শুক্রবার পার্লামেন্টে এই ঘোষণা দিয়ছেন। তিনি বলেন, তেল আবিবে অবস্থিত দক্ষিণ আফ্রিকার দূতাবাসের মর্যাদা কমিয়ে দেয়া হবে। এর ফলে ‘দূতাবাস’ মর্যাদা হারিয়ে সেটি শুধুমাত্র ‘যোগাযোগ’ অফিস হিসেবে গণ্য হবে।

পার্লামেন্টে দেয়া বক্তৃতায় রামাফোসা বলেন, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের প্রতি সমর্থনে আমরা অবিচল। সেই সাথে ইসরাইলি রাষ্ট্রের অস্তিত্বও নিরাপত্তার প্রতিও আমদের সমর্থন রয়েছে।

তিনি জানান, ২০১৭ সালে ক্ষমতাসীন দল ইসরাইলস্থ দক্ষিণ আফ্রিকার দূতাবাসের মর্যাদা হ্রাস করে ‘যোগাযোগ অফিস’ করার যে প্রস্তাব পাস করেছিল তা বাস্তবায়নে কাজ করছে সরকার। অব্যাহত ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে এই পদক্ষেপ নিয়েছিল দলটি। প্রেসিডেন্ট আরো জানান, ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী লিনডিউই সিসুলুর নেতৃত্বে এ বিষয়ে কাজ শুরু হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ফিলিস্তিনি নাগরিকদের অধিকার হরণ ও দুই রাষ্ট্র সমাধানের প্রতি শ্রদ্ধা না থাকার কারণে এই পদক্ষেপে নেয়া হচ্ছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার শীর্ষস্থানীয় অ্যাডভোকেসি গ্রুপ মিডিয়া রিভিও নেটওয়ার্কের সদস্য ইকবাল জাসাত আনাদোলু বার্তা সংস্থাকে বলেন, ‘জাতিবিদ্বেষ, বর্ণবাদ ও বৈষম্যের দুর্বিসহ অভিজ্ঞতা রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার নাগকিরদের। তাই তারা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতিশীল।’

ইকবাল আরো বলেন, ইসরাইলিরা যখনই ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালায়, অনেক দক্ষিণ আফ্রিকান নাগরিক এর প্রতিবাদ জানায় এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে।

দুই বছর আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস তেলআবিব থেকে জেরুসালেমে স্থানান্তারের ঘোষণা দেন, তার কয়েক সপ্তাহ পরেই দক্ষিণ আফ্রিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার নেতৃত্বে আফ্রিকান ন্যাশনাল ইউনিয়ন ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছিল।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top