টি-টোয়েন্টিতে ভারতকে হোয়াইটওয়াশ উপহার দিয়ে ওয়ানডে সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচ হেরে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে, তৃতীয় ওয়ানডেতেই ফিরে আসার জবাব দিয়েছে অসিরা। স্বাগতিকদের হারিয়েছে দিয়েছে ৩২ রানে।
বিরাট কোহলির শতকও বাঁচাতে পারেনি ভারতকে। অস্ট্রেলিয়ার ছুড়ে দেয়া ৩১৪ রানের পাহাড় টার্গেট টপকাতে পারেনি ভারত। অজি বোলিং দাপটের সামনে গুটিয়ে গিয়েছে ২৮১ রানেই।
অবশ্য ভারতকে হারানোর মতো পুঁজি গড়ে দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানরাই। বিশেষ করে দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ আর উসমান খাজা। তাদের ১৯৩ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ভর করে ৫ উইকেটে ৩১৩ রানের বড় সংগ্রহ পায় অস্ট্রেলিয়া।
এদিন ফিঞ্চ মাত্র ৭ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি। ৯৯ বলে ১০ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ৯৩ রান করে কুলদ্বীপ যাদবের বলে এলবিডব্লিউ হন অজি অধিনায়ক।
অন্যদিকে দেখেশুনে খেলে ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ১১৩ বলে ১১ চার আর ১ ছক্কায় তিনি করেন ১০৪ রান।
এছাড়া তিন নাম্বারে নেমে ৩১ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৪৭ রানের ঝড় তুলেছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। আর শেষের দিকে মার্কাস স্টয়নিস আর অ্যালেক্স কারের ৫০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে তিনশো পেরোয় অস্ট্রেলিয়া। স্টয়নিস ২৬ বলে ৩১ আর কারে ১৭ বলে ২১ রানে অপরাজিত থাকেন।
ভারতের কুলদ্বীপ যাদব ৩ উইকেট নিলেও ১০ ওভারে খরচ করেন ৬৪ রান।
৩১৪ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৭ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে ভারত। তবে বরাবরের মতো বিরাট কোহলি দলকে বলতে গেলে একাই টেনে নেন। ভারতীয় অধিনায়ক টানা দ্বিতীয় ম্যাচে আর ক্যারিয়ারের ৪১তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নিলেও অবশ্য শেষ হাসি হাসতে পারেননি।
৯৫ বলে ১৬ বাউন্ডারি আর এক ছক্কায় ১২৩ রান করে অ্যাডাম জাম্পার বলে বোল্ড হন কোহলি। মহেন্দ্র সিং ধোনি ২৬, কেদার যাদব ২৬, বিজয় শঙ্কর ৩২, রবীন্দ্র জাদেজা ২৪ রান করলেও পরাজয় এড়াতে পারেনি ভারত। ইনিংসের ১০ বল বাকি থাকতেই স্বাগতিক দল অলআউট হয় ২৮১ রানে। ৩২ রানের পরাজয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ভারত। সঙ্গে জয় নিয়ে সিরিজকে ২-১’এ পরিণত করে অস্ট্রেলিয়া।
রিচার্ডসন, কামিন্স ও জাম্পা মিলেই ধসিয়ে দিয়েছেন ভারতের ব্যাটিং স্তম্ভ। তারা তিনজন মিলে তুলে নিয়েছেন ৯ উইকেট।