রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধদানসহ নানা অনিয়মের লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুন নাহার।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলা পরিষদের রাজস্ব তহবিল ও উন্নয়ন তহবিলের ফাইল, চেক বই, সাধারণ সভার কার্যবিবরণী উপজেলা চেয়ারম্যান নানা অজুহাতে নিজের কাছে রেখে উপজেলা পরিষদের সাচিবিক দায়িত্ব পালন বাধাগ্রস্ত করছেন। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সরকারি কোনো বরাদ্দ না থাকায় উপজেলা পরিষদের তহবিল থেকে অর্থ নিয়ে জাতীয় কর্মসূচি পালনের বিধান থাকলেও উক্ত তহবিলে টাকা থাকা সত্ত্বেও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে বরাদ্দ দিতে অস্বীকৃতি জানান ও অসহযোগিতা করেন।
০৫.৩০.৮২৪৭.০০৫.০৪.০১৩.১৯.২০১নং স্মারকে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের নিকট এ অভিযোগ দায়ের করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুন নাহার। একই সাথে ঢাকা বিভাগীয় কামশনারের নিকট এর অনুলিপি দিয়েছেন তিনি।
এদিকে কালুখালী উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে বিভিন্ন সময় তার স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে আসছে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এর অংশ হিসেবে আজ শুক্রবার সকালে কালুখালি উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনসমূহ গত ২১ ফেব্রুয়ারি আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে অসহযোগিতা করায় তার বিরুদ্ধে কালুখালি উপজেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে চাঁদপুর স্বাধীনতা চত্বরে এক সমাবেশ করেছে।
ওই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ী জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিজানুর রহমান মজনু, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম খায়ের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সভাপতি মো: আতিউর রহমান নবাব, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো: খোরশেদ আলি মোল্লা, কালুকালির রতনদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মেহেদী হাসিনা পারভীন নিলুফা, বোয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হালিমা বেগম, মৃগী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ার্যান শহীদুজ্জামান সাগর, সাওরাইল ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম আলি, কালুখালি উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মনিরুজ্জামান চৌধুরী, রতনদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন আহমেদ ও সেক্রেটারি আসাদুজ্জামান প্রমুখ।
বক্তারা রাজবাড়ী-২ আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: জিল্লুল হাকিমের কাছে কাজী সাইফুল ইসলামকে উপজেলা আওয়ামী লীগ থেকে অপসারণ ও উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে তার দুর্নীতির বিচার চান। একই সাথে তারা আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাইফুলকে আর মনোনয়ন না দেয়ার জোর দাবি করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।