এক ইসরাইলি ধনকুবেরের করুণ মৃত্যু

পুরুষাঙ্গ বড় করার অপারেশনের সময় মৃত্যু হয়েছে এক ধনকুবেরর। ইসরাইলি নাগরিক লোকটি বাস করতেন বেলজিয়ামে। ৬৫ বছর বয়সী লোকটি পেশায় ছিলেন হীরা ব্যবসায়ী। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে অপারশেনের সময় হার্ট অ্যাটাকে তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম ডেইলি মেইল অনলাইন।

এহুদ আরি লানিয়াদো নামের ওই ধনকুবের প্যারিসের চ্যাম্পস-এলিসি এভিনিউয়ের একটি হাসপাতালে গত শনিবার মৃত্যুবরণ করেন। প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, অপারেশন করতে গিয়ে এক পর্যায়ে সেটি জটিল আকার ধারণ করলে হার্ট অ্যাটাকে রোগীর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছে বেলজিয়ামের অ্যান্টোয়ের্প শহরে অবস্থিত লানিয়াদোর কোম্পানি ওমেগা ডায়মন্ডস।

প্রতিষ্ঠানটি এক বিবৃতিতে বলেছে, একজন দূরদর্শী ব্যবসায়ীর বিদায়। অত্যন্ত দুঃখের সাথে আমরা জানাচ্ছি আমাদের কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা এহুদ লানিয়াদো মৃত্যুবরণ করেছন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক লানিয়াদোর এক বন্ধু বলেছেন, সে সব সময় আলোচনায় থাকতে পছন্দ করতো এবং অন্যরা তাকে নিয়ে কি ভাবছে সেটিকে গুরুত্ব দিতো।

প্রচুর ধনসম্পত্তির মালিক লানিয়াদো। এক বন্ধু জানান, ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপ রাষ্ট্র মোনাকোতে লানিয়াদোর একটি বাংলো রয়েছে যার দাম আনুমানিক ৩ কোটি মার্কিন ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার অভিজাত এলাকা প্লাস লা -তেও তার একটি বাড়ি রয়েছে।

নিয়মিত মডেল তারকা ও সেলিব্রেটিদের নিয়ে মদের আড্ডায় মেতে থাকা ছিলো তার শখ। এই কাজে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতেন এই ধনকুবের। মৃত্যুর পর তার ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, শেষকৃত্যের জন্য তার লাশ ইসরাইলে নেয়া হবে। তাকে আমরা ভীষণভাবে মিস করবো।

হীরা বিশেষজ্ঞ লানিয়াদো তরুণ বয়সে তার ক্যারিয়ার শুরু করে আফ্রিকার হীরা শিল্পে। পরে ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবের হিলটন হোটেলে ম্যাসজকারী হিসেবে যোগদেন। পরে আবার আসেন হীরা ব্যবসায়। তার এক বন্ধু বলেছে, আন্তর্জাতিকভাবে শীর্ষস্থানীয় হীরা বিশেষজ্ঞদের মধ্যে তিনি উল্লেখযোগ্য।

২০১৫ সালে তিনি ৪ কোটি ৮৫ মার্কিন ডলারে বিশ্বের সবচেয়ে দামী হীরা ‘ব্লু মুন’ বিক্রি করে হংকংয়ের এক ব্যবসায়ীর কাছে । তবে তার বিরুদ্ধে অ্যাঙ্গোলা ও কঙ্গো থেকে হীরা আমদানিতে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে বেলজিয়াম কাস্টমস বিভাগ। এছাড়া সাড়ে চারশ ৬০ কোটি ইউরো ট্যাক্স ফাঁকিরও অভিযোগ আছে। এ জন্য তাকে জরিমানা করা হয় দুই শ’ কোটি ইউরো।

অবশ্য দুটি আদালতে কাস্টমস বিভাগের অভিযোগ খারিজ হয়ে গেলেও আপিল আদালত মামলাটি নতুন করে চালু করার নির্দেশ দিয়েছে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top