জম্মু ও কাশ্মিরের স্বাধীনতাকামী দল লিবারেশন ফ্রন্টের নেতা ইয়াসিন মালিককে জননিরাপত্তা আইনে (পিএসএ) গ্রেফতার দেখিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। এই আইনে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের দুই বছর পর্যন্ত বিনা বিচারে আটক রাখা যায়। ফলে ইয়াসিন মালিক যে সহসাই মুক্তি পাচ্ছে না এটি অনেকটাই নিশ্চিত। বৃহস্পতিবারই তাকে কোটভালওয়াল কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি কাশ্মিরের আরো অনেক নেতাকর্মীর সাথে ইয়াসিন মালিককে গ্রেফতার করেছিল ভারতীয় পুলিশ। এতদিন তাকে পুলিশ স্টেশনে রাখা হয়েছিল।
ভারত অধিকৃত কাশ্মিরে জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ হওয়ার পর অঞ্চলটিতে ব্যাপক ধরপাড়ক চালায় পুলিশ। এতে তিন শতাধিক জামায়াত নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যান্য দলের অনেক নেতাকর্মীকেও গ্রেফতার করা হয় একই সাথে। ২০১৪ সালের পর এ নিয়ে দ্বিতীয় বার জননিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হলেন ইয়াসিন মালিক।
জম্মু-কাশ্মির লিবারেশন ফ্রন্টের এক সিনিয়র নেতা আল জাজিরাকে বলেন, এই সরকার নির্যাতন-নীপিড়নের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌছে গেছে। কেউ কথা বলতে চাইলেই তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে।
এই ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল ইয়াসিন মালিকের এলাকা মাইসুমার দোকানদাররা দোকান বন্ধ করে ধর্মঘট করে। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছে, কিছু যুবক ও শিশুরা এই গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে। স্বাধীনতাকামী দলগুলোর জোট দ্য জয়েন্ট রেসিস্ট্যান্স লিডারশীপ এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে।
ভারত-পাকিস্তান সাম্প্রতিক উত্তেজনার পর থেকেই জম্মু ও কাশ্মিরে ভারতীয় বাহিনীর ধরপাকড় বেড়েছে। গত মাসে কাশ্মিরের পুলওয়ামায় ভারতীয় আধা সামরিক বাহিনীর ওপর আত্মঘাতি হামলায় ৪০ জওয়ান নিহত হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায়-এক পর্যায়ে যা যুদ্ধের পর্যায়ে পৌছে যায়। একই সময় ভারত কাশ্মিরে নিরপত্তা জোরদারের নামে গ্রেফতার অভিযান শুরু করে। ভারতে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কাশ্মির পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। অঞ্চলটিতে সঙ্ঘাত, সংঘর্ষ চলছেই।