নৃত্যানুষ্ঠানের কারণে মসজিদের আযান বন্ধ করে দিলো স্থানীয় আওয়ামিলীগ নেতা পৌর মেয়র সুভাষ চন্দ্র শীল। গত ৩ মার্চ রবিবার বরিশালের বানারীপাড়ার মহিষাপোতা প্রাইমারী স্কুল সংলগ্ন জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গত ৩ মার্চ রবিবার বরিশালের বানারীপাড়ার মহিষাপোতা প্রাইমারী স্কুল সংলগ্ন জামে মসজিদের পাশেই স্কুল মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিলো, এশার নামাজের আজানের সময় হলে ইমাম সাহেব আযান দিতে গেলে অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত আযান বন্ধ রাখতে বাধ্য করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, নৃত্যানুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় আওয়ামিলীগ নেতা পৌর মেয়র সুভাস চন্দ্র শীল! তার নির্দেশেই আযান বন্ধ করা হয়।
এ ঘটনায় এলাকার সাধারন মানুষের ভিতর ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয়রা বলছেন, গান-নাচের অনুষ্ঠানের জন্য আযান বন্ধ করে দেওয়া এটা একটি অন্যায়। এই অন্যায়ের সঠিক বিচার চাই।
এছাড়াও সমগ্র দেশের সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানসহ বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনগুলো এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে।
এদিকে এই ঘটনা একটি ভিডিও ফুটেজ ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সাবেক একুশে টেলিভিশনের সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন ভিডিওটি শেয়ার করে “নৃত্যানুষ্ঠানের কারণে মসজিদের আযান বন্ধ করা হলো” এই শিরোনাম দিয়ে লিখেছেন,
ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩রা মার্চ বরিশালের বানারীপাড়ার মহিষাপোতা প্রাইমারী স্কুল সংলগ্ন জামে মসজিদে! মসজিদের পাশেই স্কুল মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিলো, এশার নামাজের আজানের সময় (৭:৩০) হলে ইমাম সাহেব আযান দিতে গেলে অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত আযান বন্ধ রাখতে বাধ্য করা হয়!
পেশী শক্তির ভয়ে আযান বন্ধ রাখা হলেও এলাকার সাধারন মানুষের পাশাপাশি আওয়ামিলীগের একাংশের মধ্যেও চাঁপা ক্ষোভ বিরাজ করছে, এবং যেটার সম্পূর্ণ দায় গড়িয়েছে সরকারের উপর! কারন ঐ নৃত্যানুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় আওয়ামিলীগ নেতা পৌর মেয়র সুভাস চন্দ্র শীল! তার নির্দেশেই আযান বন্ধ করা হয়!
তবে, আমি একজন সচেতন মানুষ হিসেবে এর পুরো দোষ আওয়ামিলীগকে দিতে চাই না৷
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, যতদূর শুনি আপনি সব সময় অজু অবস্থায় থাকেন, সকালে কোরআন তেলওয়াত করেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন, তাহাজ্জুদ নামাজও বাদ দেন না৷ এক কথায় আপনি একজন ধর্মভীরু মানুষ৷
এসব বাদ দিলেও আপনারাতো ভোট আর ক্ষমতার জন্যেই রাজনীতি করেন তাই না?
৯০ ভাগ মানুষের ভোটের জন্যে হলেও আশা করি আপনি অতিসত্বর এ ঘটনার তদন্ত করে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ দিবেন৷ ভিডিওটি আমাদের কাছে যিনি পাঠিয়েছেন তাদেরকে সুভাষ চন্দ্র বেশি বাড়াবাড়ি না করবার হুমকি দিয়েছেন৷ যে কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তারা দিতে সাহস পায়নি৷
তাই আপনার কাছে প্রশ্ন আপনি কি আপনার দুএকজন নেতা কে বাঁচাবেন নাকি ৯০ ভাগ মুসলমানের জিম্মাদার হিসেবে আ্ল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার ভয় করবেন?
নিচে বর্তমান এলাকার মানুষের প্রতিক্রিয়ার ভিডিও এবং সেদিনের নৃত্যানুষ্ঠানের একটি স্থিরচিত্র দেয়া হলো: