সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, দীর্ঘ ছয় বছরেও নারায়ণগঞ্জের ত্বকী হত্যার বিচার না হওয়ায় বিচারহীনতার প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। এটা পুরো বিচার প্রক্রিয়ার সাথে চরম অবজ্ঞা। ত্বকী হত্যার সমস্ত সাক্ষ্য প্রমাণ থাকার পরেও একটি পরিবারের কাছে বিচার বিভাগ আজ যেন অসহায়। বক্তারা বিচার প্রক্রিয়াকে ত্বরাত্বিত করতে বৃহৎ একটি প্লাটফর্ম করে আন্দোলনের ডাক দেয়ার আহবান জানান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চ আয়োজিত আলোচনা সভায় তারা এ কথা বলেন।
সভায় বক্তারা আরো বলেন, আমরা একটি অদ্ভুদ অবস্থার মধ্য দিয়ে সময় পার করছি। প্রধানমন্ত্রী নিজে যেখানে ত্বকী হত্যার বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন তারপরেও দীর্ঘ ৬ বছরে কোন বিচার হয়নি। বক্তারা অভিযোগ করেন, চিহ্নিত খুনিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এর চেয়ে বিচারহীনতারকি আর কি প্রমাণ থাকতে পারে?
সভায় আগত বক্তারা বলেন, দেশ আজ চূড়ান্ত স্বেচ্ছাচারিতায় পৌছে গেছে। তারা ত্বকী হত্যার বিচারকাজ ত্বরান্বিত করতে একটি অভিন্ন প্লাটফর্ম গঠনের উপরও গুরুত্বারোপ করেন।
সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহবায়ক রাফিউর রাব্বীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট লেখক ও ভাষা সৈনিক কামাল লোহানী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সুজন সম্মাদক বদিউল আলম মজুমদার, জাবি’র অধ্যাপক শফি আহমেদ, দৈনিক সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মনিরুজ্জামান, বাসদ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান, সাবেক সচিব ভুইয়া শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক এম এম আকাশ, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, ঐক্যন্যাপ’র প্রধান পংকজ ভট্রাচার্য, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রষ্টি মফিজুল হক, ডা. সারোয়ার আলী, সাংবাদিক ও কলামিষ্ট মিজানুর রহমান খান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকী প্রমুখ। সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চ এর সদস্য সচিব হালিম আজাদ।
উল্লেখ্য ২০১৩ সালের ৬ মার্চ নারায়ণগঞ্জের মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীকে হত্যা করে একটি চিহ্নিত চক্র। বিচার প্রক্রিয়া অনেক দূর এগিয়ে গেলেও পরে অদৃশ্য ছায়ার কারণে থমকে যায় বিচার কাজ। গঠন করা হয় ত্বকী মঞ্চ। কিন্তু ছয় বছরেও সেই বিচার কাজ আর এগুচ্ছে না।