বিদ্যমান সংকটজনক পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এখনো যুদ্ধের হুমকি রয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। বুধবার সিএনএনের সাথে সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী গণসংযোগ বিভাগের (আইএসপিআর) ডিরেক্টর জেনারেল ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনালের আসিফ গফুর একথা বলেন।
সাক্ষাৎকারে মেজর জেনারেল আসিফ গফুর বলেন, পাকিস্তান কেবল ভারতের হামলা ও আগ্রাসনের জবাব দিয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত কি পদক্ষেপ নিবে তার উপরই নির্ভর করছে বিদ্যমান উত্তেজনা দূর হবে কিনা। তিনি জোর দিয়ে বলেন, কাশ্মির সমস্যার সমাধান করতে হলে ওই অঞ্চলে শান্তি বজায় রেখেই করতে হবে।
মেজর জেনারেল আসিফ গফুর আরো বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন করে ও প্যালেট বন্দুক ব্যবহার করে ভারত কাশ্মিরী জনগণের ওপর নির্যাতন করছে।
এর আগে তিনি পরিষ্কার করে বলেন, যেকোনো ধরণের ভারতীয় হামলা ও আক্রমণের সমুচিত জবাব দেয়ার সক্ষমতা পাকিস্তানের সামরিকবাহিনীর আছে। পাকিস্তান এই অঞ্চলের শান্তি বিঘ্নিত করতে চায় না বলেও জানান তিনি।
সিএনএনকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এই মুখপাত্র বলেন,‘২৬ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজমান ছিল। ফেব্রুয়ারির ২৬ তারিখে পাকিস্তানের আকাশসীসা লঙ্ঘন করে ভারত। এরপর ২৭ তারিখ পাল্টা হামলা চালিয়ে দুটি ভারতীয় মিগ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে পাকিস্তান এবং একজন পাইলটকে আটক করা হয়। পরে আবার তাকে মুক্তি দেয়া হয়।’
তিনি বলেন, কাশ্মিরের পুলওয়ামায় ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর উপর আত্মঘাতী হামলার পর ভারতকে তদন্তকাজে সহায়তার প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কিন্তু সে সময় ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে নির্ধারিত হটলাইনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
মেজর জেনারেল আসিফ গফুর বলেন,‘ভারতের পক্ষ থেকে লিখিত কিছু দলিলপত্র পাওয়া গেছে এবং সে অনুযায়ী তদন্ত চলছে। তাছাড়া ভারতের পাঠানো কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তিনি আরো বলেন,‘জাতীয় কর্ম পরিকল্পনার (এনএপি) বিষয়ে সকল রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। কারো চাপে পড়ে কোনো কাজ করা হচ্ছে না। ২০১৪ সাল থেকে এনএপি বাস্তবায়নের কাজ চলছে। আমরা নিজেরাই আমাদের কাজ করছি, কারণ ২০১৪ সালে তো পুলওয়ামার ঘটনা ঘটেনি।’ সূত্র : দুনিয়া নিউজ।