আগামী ১৪, ১৫ ও ১৬ মার্চ রূপসা উপজেলার খুলনা-মংলা বাইপাস সড়কের জাবুসা মোড় এলাকায় অনুষ্ঠিতব্য খুলনা জেলা ইজতেমার সাথে খুলনার ওলামায়ে কেরাম, তাবলীগের সাথী ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন খুলনার উলামায়ে কেরাম।
ইজতেমার নামে সাদপন্থীদের বিভ্রান্তিকর আয়োজন ও প্রচারণার প্রতিবাদে বুধবার খুলনা প্রেসক্লাবে জেলার উলামায়ে কেরামদের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুফতি আব্দুল্লাহ ইয়াহিয়া।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত বছর পহেলা ডিসেম্বর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে ওয়াসিফ ও নাসিমের নেতৃত্বে তাবলীগের সাথী ও আলেম উলামাদের ওপর নির্মম ও বর্বরোচিত হামলাকারীদের একটি অংশ আগামী ১৪, ১৫ ও ১৬ মার্চ খুলনার রূপসা থানাধীন জাবুসায় নির্মানাধীন ফারুক জুটমিল চত্বরে খুলনা জেলা ইজতেমার আয়োজন করছে, যা তাবলীগ জামাতের চলমান সংকটকে আরো তীব্র করবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মাওলানা সাদ সাহেবের কুরআন সুন্নাহ বহির্ভুত কিছু বিভ্রান্তিকর ও আপত্তিজনক বক্তব্যের কারণে ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দসহ সারা বিশ্বের আহলে হক উলামায়ে কেরাম তার বিপক্ষে এবং কুরআন ও সুন্নাহ’র পক্ষে অবস্থান নিতে বাধ্য হয়েছেন। এ কারণে খুলনা জেলার সর্বস্তরের উলামায়ে কেরাম, তাবলীগের সাথী ও সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সাথে রূপসার ভ্রান্ত মতবাদের ইজতেমার কোনো সম্পর্ক নেই। এটা সাদপন্থীদের তথাকথিত ইজতেমা।
খুলনার ইমাম ও আলেমদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত- তারা উক্ত ইজতেমায় অংশ গ্রহণ করবেন না। তাই খুলনাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরও ওই ইজতেমা থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার পর জেলা ইজতেমার নামে জেলায় জেলায় ইজতেমা করার কোনো নজির নেই। গত ৪ মার্চ বিভিন্ন সংবাদপত্রের মাধ্যমে যে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে তাতে সাদপন্থীরা সাধারণ মুসল্লীদের বিভ্রান্ত করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা নূর হোসেন কাশেমী, হাফেজ মুসা, কাজী তারেক, মাওলানা মুফতি গোলামুর রহমান, মুফতি মনজুর প্রমুখ।