মুক্তি পেলেন বিএনপি নেত্রী নায়াব ইউসুফ

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের জেষ্ঠ্য কন্যা, ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্য চৌধুরী নায়াব ইউসুফ মুক্তি পেয়েছেন। তিন দিন তিন রাত কারাগারে আটক থাকার পর বুধবার বিকেল তিনটার পরে ফরিদপুর জেলা কারাগার থেকে তিনি মুক্তি লাভ করেন। এসময় চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন।

এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে ফরিদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মোঃ হেলাল উদ্দিন গোলডাঙ্গির ইউসুফ হত্যা মামলায় ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় চৌধুরী নায়াব ইউসুফের জামিন মঞ্জুর করেন। আদালতে চৌধুরী নায়াব ইউসুফের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শহিদুল্লাহ জাহাঙ্গির জামিন প্রার্থণা করে বলেন, মামলার এজাহারের বর্ণনায় আসামী নায়াব ইউসুফ ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তিনি একজন নারী এবং ফরিদপুরের সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান।

এসময় সরকার পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট লক্ষণ সাহা জানান, মামলার বাদি এই আসামীর জামিনে তার আপত্তি নেই বলে জনিয়েছেন। এসময় আদালত মামলার বাদি সোহরাব বেপারীকে তলব করলে সোহরাব বেপারী আদালতে উপস্থিত হয়ে জানান যে, এই মামলার আসামী চৌধুরী নায়াব ইউসুফকে জামিন দিলে তার কোন আপত্তি নেই। এরপর আদালত বাদীর অনাপত্তির বিষয়টি উল্লেখ করে তাকে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর আদালত থেকে জামিন আদেশ কারাগারে পৌছানোর পর বিকেল তিনটার পর তিনি কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন।

এসময় চৌধুরী নায়াব ইউসুফের পিতা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, তার স্ত্রী চৌধুরী শায়লা কামাল ইউসুফ, চৌধুরী সাউদ ইউসুফসহ জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলী আশরাফ নান্নু, জেলা বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভুইয়া রতন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মামুনুর রশীদ মিঠু, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একে কিবরিয়া স্বপন, শহর বিএনপির সভাপতি রেজাউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মিরাজ, কোতয়ালী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান চৌধুরী রঞ্জন, মহানগর যুবদলের সভাপতি ও সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান বেনজির আহমেদ তাবরীজ, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি শাহরিয়ার শিথীলসহ নেতাকর্মীরা তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন। ফরিদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া চৌধুরী নায়াব ইউসুফের কারামুক্তিতে তাকে অভিননন্দন জানান।

উল্লেখ, বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ১১ ডিসেম্বর সন্ধায় সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের গোলডাঙ্গিতে একটি চায়ের দোকানে বচসার জের ধরে হাতাহাতিতে আহত হন ইউসুফ বেপারী নামের এক ব্যক্তি। পরে রাতে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ভাই সোহরাব বেপারী বাদি হয়ে ৩৮ জনকে আসামী করে কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কোতয়ালী থানায় দায়েরকৃত ওই মামলা নং- ৭৮৯/১৮।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top