শোচনীয় পরাজয়। আর এর মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদের যাত্রা শেষ৷ ঘরের মাঠে আয়াক্সের কাছে নাস্তানাবুদ হয়ে ইউরোপ সেরা টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিলো স্পেনের এই ক্লাব৷ সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে মঙ্গলবার রাতে শেষ ষোলোর ফিরতি লেগের ম্যাচ ৪-১ জিতে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ এগিয়ে থেকে শেষ আটে পৌঁছল আয়াক্স।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রামোসের অভাববোধ করে রিয়াল মাদ্রিদ৷ শেষ তিন ম্যাচে গোলের দেখা না-পাওয়া রিয়াল এদিন এগিয়ে যেতে পারত চতুর্থ মিনিটে। লুকাস ভাসকেসের ক্রসে রাফায়েল ভারানের হেড ক্রসবারে লেগে ব্যর্থ হলে হতাশা গ্রাস করে রিয়ালকে৷ সুবর্ণ সুযোগ নষ্টের হতাশা কাটতে না কাটতেই সপ্তম মিনিটে নিজেদের ভুলে পিছিয়ে পড়ে রিয়াল। মাঝমাঠের কাছে টনি ক্রুসের দুর্বল ব্যাকপাস দুসান তাদিচ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডিফেন্ডারদের পেছনে ফেলে ডি-বক্সে ঢুকে পাশ বাড়ান হাকিমকে। পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে বল জালে পাঠান এই ডাচ মিডফিল্ডার।
প্রথম লেগে দুর্দান্ত খেলেও ১-২ গোলে হেরেছিল আয়াক্স৷ কিন্তু এদিন প্রথম থেকে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে ডাচ ক্লাবটি। ১৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে আয়াক্স। এই গোলেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল সার্বিয়ান ফরোয়ার্ড তাদিচের। অবশ্য নিজেদের দায়ও এড়াতে পারবে না রিয়ালের খেলোয়াড়রা। কাসেমিরোকে কাটিয়ে তাদিচ অনেকটা এগিয়ে ডি-বক্সে বল বাড়ান। এসময় তাঁকে বাধা দিতে এগিয়ে আসেনি কেউ। বল ধরে আগুয়ান গোলরক্ষক কোর্তোয়াকে কাটিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেরেস।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক শুরু করে রিয়াল৷ ৫৩ মিনিটে গোলের সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেনি তারা৷ কিন্তু কারভাহালের বাড়ানো বল ধরে বেনজেমার শট ক্রসবার ঘেঁষে চলে যায়। দুই মিনিট পর তাদিচের শট ঠেকিয়ে রিয়ালকে ম্যাচে রাখেন কোর্তোয়া। কিন্তু তা বেশিক্ষণ আটকে রাখতে পারেননি বেনজিয়াম গোলরক্ষক। সতীর্থের পাস ডি-বক্সের মুখে পেয়ে ভিতরে ঢুকেই বাঁ পায়ের উঁচু জোরালো শটে বল ঠিকানায় পাঠান তাদিচ। দ্বিতীয়ার্ধে আরও একটি গোল করে আয়াক্স৷ তবে ৭২ মিনিটে রিয়ালের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন মার্কো অ্যাসেনসিও৷