ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ইশতেহার প্রকাশ করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মনোনীত মোস্তাফিজ-অনিক-সোহেল পরিষদ ও স্বতন্ত্র জোট। প্রকাশিত ইশতেহারে ছাত্রদল মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছে।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়কে আধিপত্য ও সন্ত্রাসবাদ মুক্ত নিরাপদ ক্যাম্পাস; পরিবেশ পরিষদ সচল করা; আবাসন সংকট নিরসনে নতুন হল নির্মাণ ও পুরনো হল সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা; প্রথম বর্ষ থেকেই মেধার ভিত্তিতে আসন বণ্টন করা; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার সম্পূর্ণরূপে আধুনিক ও বিশ্বমানের গ্রন্থাগারে রূপান্তর করা এবং পরিপূর্ণ ডিজিটালাইজড করে শিক্ষার্থীর চাহিদা পূরণে সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণের কথা বলেছে।
একই সাথে শিক্ষার্থীদের পরিবহন সঙ্কট নিরসনে বাসের সংখ্যা ও রুট বৃদ্ধি করা এবং বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অভ্যন্তরীণ পরিবহন ব্যবস্থা চালু করা; বিশ্ববিদ্যালয় ও হলের ক্যাটিনগুলাতে খাবারের মান বৃদ্ধি ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করতে ডাকসুর মাধ্যমে ভর্তুকি ব্যবস্থা করা; শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ; ছাত্রী হলগুলাতে প্রবেশের সময়সীমা রাত ১১টা পর্যন্ত বর্ধিত করার উদ্যোগ নেয়া; এমফিল , পিএইচডি সহ সকল গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধি করার কথা জানিয়েছে।
এছাড়া প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা বিনির্মাণে ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা; একাডেমিক ভবন ও হলসহ সমগ্র ক্যাম্পাস ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসা; ভর্তি ও একাডেমিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস রোধ রাজনৈতিক বিবেচনায় শিক্ষক নিয়োগ রোধে ডাকসুকে সোচ্চার রাখা; শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিত্ব ও শৃজনশীলতা বিকাশে সাহিত্য সাংস্কৃতি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা এবং এ এক্ষেত্রে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা; ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অধিকার সংরক্ষণে তাদের যৌক্তিক দাবী সমূহ বাস্তবায়ন করা ও গণতান্ত্ৰিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার কথা বলেছে ছাত্রদল।
অন্যদিকে সতন্ত্র জোট ইশতেহারে জানিয়েছে, মুক্তিযুদ্ধকে ঢাল বানিয়ে স্বার্থসিদ্ধির বিরুদ্ধে অবস্থান; নিয়মিত ব্যাক্টেরিয়াল টেস্টের মাধ্যমে খাবারের মান নিয়ন্ত্রণ ; লাইব্রেরী ২৪ ঘন্টা খোলা রাখা; রিডিং রুমে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি এবং অনলাইন লাইব্রেরি তৈরি করা; ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ করার ব্যবস্থা করা হবে।
এ সম্পর্কে কোটা সংস্কার আন্দোলন মনোনিত প্যানেলের সহ সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী মো: নূরুল হক জানান, তারাও শিগগিরই ইশতিহার প্রকাশ করবেন। ইচ্ছা থাকলে ও বিভিন্ন হলে ছাত্র হয়রানির ভয়ে প্রার্থী হতে চাননি। তবে আশা করছি ছাত্রদের অধিকার ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের জন্য আমাদের প্যানেলকেই বেছে নিবেন।
প্রগতিশীল বামজোট মনোনীত প্যানেল থেকে সহ সভাপতি পদ প্রার্থী লিটন নন্দীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারাও দ্রুত সময়ের মধ্যে ইশতেহার ঘোষণা করবে বলে জানান।