দেশে রাইড শেয়ারিং সেবাদানকারী কোন প্রতিষ্ঠানকে এ পর্যন্ত তালিকাভূক্তির সনদ দেয়নি সরকার। নীতিমালার শর্ত পূরণ না হওয়ায় এমটি করা হয়েছে। একজন এমপির প্রশ্নের উত্তরে মঙ্গলবার সংসদে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের দেয়া উত্তরে এ তথ্য জানানো হয়।
অসুস্থ হয়ে ওবায়দুল কাদের বর্তমানে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন। সংসদের নিয়ম অনুযায়ী বৈঠকে উপস্থিত/অনুপস্থিত যে কোনো মন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর তারই নামে পরিবেশিত হয়।
উবার, পাঠাও, সহজের মতো কয়েকটি কোম্পানি ২০১৬ সালে যখন ঢাকায় রাইড শেয়ারিং সেবা দেওয়া শুরু করে, তখন এ ধরনের সেবার কোনো নীতিমালা বাংলাদেশে ছিল না। কিন্তু যানজট আর গণপরিবহনে নৈরাজ্যের শহর ঢাকায় মোবাইল অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং সেবা দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়।
বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনার পর গত বছরের ১৫ জানুয়ারি ‘রাইড-শেয়ারিং’ নীতিমালা সরকার অনুমোদন করে। তাতে ‘রাইড শেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের নামে বিআরটিএ থেকে ‘এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট’ এবং মোটরযানের মালিকের নামে ‘রাইড শেয়ারিং মোটরযান এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট’ নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়।
নাছিমুল আলম চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রীর উত্তর আসে, ‘রাইড শেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালা জারি হওয়ার পর ১৬টি রাইড শেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্তির জন্য আবেদন করেছে। তবে, নীতিমালার কিছু শর্ত প্রতিপালন না হওয়ায় আবেদিত রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট ইস্যু করা সম্ভব হয়নি।’
নীতিমালার শর্ত পূরণের জন্য অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
তার আগে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণ দেখিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নীতিমালা বাস্তবায়নের সাথে পুলিশ, নির্বাচন কমিশন (জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগ) ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সংশ্লিষ্টতা থাকায় এই মুহূর্তে রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছে না।’
এম এ লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, মহাসড়কের অব্যবহৃত যে ভূমিতে অসাধু ব্যক্তিবর্গ দোকানপাট ও বাজার তৈরি করেছে, তা উদ্ধারে কাজ চলছে।
নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন সংসদে জানান, রেলওয়ে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ৭ কোটি ৭৮ লাখ ও ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ৯ কোটি ৫৭ লাখ যাত্রী পরিবহন করেছে।
আব্দুল আজিজের প্রশ্নের জবাবে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী জানান, গত অর্থ বছরে (২০১৭-১৮) দেশে ছয় লাখ ১৮ হাজার ৬৩২ হেক্টর জমিতে পাট উৎপাদন হয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তান, ভারত, চীন, নেপাল, আইভরিকোস্ট, জিবুতি, ভিয়েতনাম, ব্রাজিল, এল সালভেদর, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, তিউনিশিয়া ও জার্মানিতে পাট রপ্তানি করা হয়েছে।